
শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের শেয়ার করা এক ভিডিওকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রী তথা শিবসেনা নেতা সঞ্জয় শিরসাত একটি রুমে বসে রয়েছেন এবং তাঁর পাশে টাকা ভর্তি ব্যাগ।(ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)
সঞ্জয় রাউত এই ভিডিওটি শেয়ার করে এক্স-এ লেখেন, "এই রোমাঞ্চকর ভিডিওটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দেখা উচিত! দেশে কী চলছে! মহারাষ্ট্রের একজন মন্ত্রীর এই ভিডিও অনেক কিছু বলে!" এই মন্তব্যের পরই রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় ওঠে।
ভিডিওতে শিরসাতের ঘরে একটি পোষা কুকুর এবং আরেকটি স্যুটকেসও দেখা যাচ্ছে। শিরসাতকে সিগারেট খেতে খেতে ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। ঘরের মেঝেতে একটি কালো রঙের ব্যাগ খোলা রয়েছে, যার মধ্যে প্রচুর ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল দেখা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিরসাত এই ভিডিওটিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমি একটি সফর থেকে ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। কেউ গোপনে ভিডিও করেছে। টাকার সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই। যদি এত টাকা থাকত, আমি নিশ্চয়ই আলমারিতে রাখতাম। এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”
উল্লেখ্য, এই ভিডিও ফাঁসের একদিন আগেই আয়কর বিভাগ শিরসাতকে একটি নোটিশ পাঠায়। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল এই ৫ বছরে অস্বাভাবিকভাবে সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে সঞ্জয় শিরসাতের। বিষয়টি নজরে আসতেই, কারণ জানতে চেয়ে তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাকে নিয়ে কিছু মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে। তবে আশা করব শীঘ্রই তারা জবাব পেয়ে যাবে। আমরা সময় চেয়েছি এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাকে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করব। আমি কোনও চাপের মধ্যে নেই।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিরসাতের ভিডিও প্রকাশ ঘিরে বিরোধীরা শাসক শিবিরে ফাটল ধরাতে চাইছে। আগামী দিনে এই বিতর্ক রাজ্য রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন