SIR: নির্বাচনের আগেই কেন? বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে কমিশন!

People's Reporter: গত জুন মাসের ২৪ তারিখ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের নির্দেশ জারি করা হয়।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীগ্রাফিক্স আকাশ
Published on

বিহারে নির্বাচনের (Bihar Election) আগেই ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়লো নির্বাচন কমিশন। এই কাজকে অবৈধ না বললেও কাজের সময় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের (Special Intensive Revision of Electoral Rolls) নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে একাধিক পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, "ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে এই ধরণের নির্দেশ দেওয়া উচিত নয়। একজন ভোটারকে অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হচ্ছে, নিজের সপক্ষে সওয়াল করার যথেষ্ট সময় পর্যন্ত নেই তাঁর হাতে।"

এর আগে মামলাকারীদের পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ যুক্তি দিয়েছিলেন, সংশোধনটি "স্বেচ্ছাচারী" এবং "বৈষম্যমূলক"। কারণ এটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তালিকায় থাকা ভোটারদের নিজেদের পুনরায় প্রমাণ দিতে বাধ্য করছে। যেখানে সরকার প্রদত্ত পরিচয় পত্র হিসেবে আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন প্রমাণ হিসেবে ১১টি নথি গ্রহণ করার কথা বলেছে। এমনকি নির্বাচন কমিশনেরই দেওয়া ভোটার কার্ড গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়।

পাল্টা নির্বাচনে কমিশনের পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়, প্রতিটি নথিরই বিশেষ গুরুত্ব থাকে। আধার কার্ড কেবল একটি পরিচয় পত্র। তার বেশি কিছু নয়। এটি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। তাই এক্ষেত্রে আধার গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসের ২৪ তারিখ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের নির্দেশ জারি করা হয়। যার ভিত্তি বছর হিসেবে ঠিক করা হয়েছে ২০০৩ সালকে। কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, রাজ্যের ৭.৮ কোটি ভোটারকে বিশেষ ফর্ম পূরণ করতে হবে। ২০০৩ সালের আগে তালিকায় যাদের নাম ছিল, সেই ৪.৯৬ কোটি ভোটারকে কোনও অতিরিক্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে না। কিন্তু ২০০৩-পরবর্তী সময়ে যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, অর্থাৎ ২.৯৩ কোটি মানুষকে তাদের নিজের এবং তাদের পিতামাতার জন্ম সার্টিফিকেট অথবা জন্মস্থানের প্রমাণপত্র দিতে হবে।

ছবি প্রতীকী
Niti Aayog: নীতি আয়োগের রিপোর্টের ম্যাপে বিহার হল বাংলা! ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলে চিঠি দিলেন মমতা
ছবি প্রতীকী
'মমতার নামে দুর্নীতির মামলা নেই', দিল্লীতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরেই মন্তব্য দিলীপের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in