Trump vs Musk: ট্রাম্পের সঙ্গে সংঘাত চরমে - নিজের রাজনৈতিক দল আমেরিকা পার্টির ঘোষণা করলেন এলন মাস্ক

People's Reporter: মাস্ক জানিয়েছেন, সেনেটে ২ থেকে ৩টি ও হাউসে ৮ থেকে ১০টি আসন তাঁর লক্ষ্য। মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ পাশ হবার পর রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করেছেন মাস্ক।
এলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
এলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
Published on
Summary

* এক্স হ্যান্ডেলে নিজের রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করলেন এলন মাস্ক।

* আপাতত সেনেটে ২ থেকে ৩টি এবং হাউসে ৮ থেকে ১০টি আসন তাঁর লক্ষ্য বলে তিনি জানিয়েছেন।

* বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক। তাই যেকোনো রাজনৈতিক লড়াইতে তার অংশগ্রহণ নির্ণায়ক প্রমাণিত হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকার পরেই নিজের নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করলেন ধনকুবের এলন মাস্ক। তাঁর নতুন রাজনৈতিক দলের নাম হতে চলেছে ‘আমেরিকা পার্টি’ (America Party)। বেশ কিছুদিন থেকেই নিজের রাজনৈতিক দল তৈরির কথা জানাচ্ছিলেন এলন মাস্ক (Elon Musk)। প্রাথমিক ভাবে এলন মাস্ক জানিয়েছেন, আপাতত সেনেটে ২ থেকে ৩টি এবং হাউসে ৮ থেকে ১০টি আসন তাঁর লক্ষ্য। মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ পাশ হবার পরেই তাঁর রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করেছেন এলন মাস্ক।

শনিবার নিজের রাজনৈতিক দলের কথা ঘোষণা করে এলন মাস্ক জানিয়েছেন, তাঁর রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ দেশের মানুষকে ‘স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবে’। তবে নতুন রাজনৈতিক দল তৈরির কথা ঘোষণা করলেও সেই দলকে তিনি রেজিস্ট্রিকৃত দল হিসেবে গড়ে তুলবেন কিনা তা স্পষ্ট করেননি ধনকুবের মাস্ক। সেক্ষেত্রে আমেরিকার ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের (Federal Election Commission) কাছে দল নথিভুক্ত করতে হয়।

বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুসারে, এলন মাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নন। কারণ তিনি আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেননি। তাই মাস্কের দলের নেতৃত্ব কে দেবেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর নতুন দলের নেতৃত্ব কে দেবেন তা এখনও ঘোষণা করেননি মাস্ক।

গতকালের ঘোষণায় এলন মাস্ক জানিয়েছেন, এককভাবে চলবে তাঁর আমেরিকা পার্টি। এক্স হ্যান্ডেলে মাস্কের পোষ্টে এক ব্যবহারকারী এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাস্ক জানান, আইনি বিষয়ে দুই রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই আলোচনা হলেও তাঁর দল এককভাবে চলবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তাই যেকোনো রাজনৈতিক লড়াইতে তার অংশগ্রহণ নির্ণায়ক প্রমাণিত হতে পারে।

দুই রাজনৈতিক দলের ব্যবস্থায় চলা আমেরিকায় মাস্কের দল তৃতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো বলে জানিয়েছেন মাস্ক। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মাস্ক জানিয়েছেন, “যখন অপচয় ও দুর্নীতির মাধ্যমে আমাদের দেশকে দেউলিয়া করার কথা আসে, তখন আমরা গণতন্ত্র নয়, একদলীয় ব্যবস্থায় বাস করি।” “আজ, আমেরিকাবাসীকে তাঁদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবার জন্য আমেরিকা পার্টি গঠিত হয়েছে।”

আমেরিকার শেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বড়ো অঙ্কের অর্থ ব্যয় করলেও পরবর্তী সময়ে একাধিক বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য প্রকাশ্যে আসে। যার জেরে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এলন মাস্ক। সমসাময়িক বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে এলন মাস্ক এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের একই মতামত হলেও, মাস্ক জানিয়েছেন, রিপাবলিকান নীতির বর্তমান এজেন্ডায় দেশের ঋণ বৃদ্ধি হবে। তিনি একে “ঋণ দাসত্ব” (Debt Slavery) বলে অভিহিত করেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাস্ক প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার খরচ করেছিলেন।

২০ জানুয়ারি, ক্ষমতায় বসেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশেষ নির্দেশ দিয়ে তৈরি করেছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট অফ এফিসিয়েন্সি (DOGE) এবং যার মূল দায়িত্ব দিয়েছিলেন এলন মাস্কের ওপর। যদিও কিছুদিনের মধ্যেই ট্রাম্প মাস্ক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। যার জেরে ২৯ মে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’-এর কড়া সমালোচনা করে নিজেকে মার্কিন প্রশাসন থেকে সরিয়ে নেন এলন মাস্ক

ট্রাম্প মাস্ক দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে গত ১ জুলাই এলন মাস্ককে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, ব্যবসায়ীরা সরকারি সাহায্যের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, তিনি মাস্কের কোম্পানিগুলি যে ভর্তুকি পেত তা কমিয়ে দেবেন এবং বলেন, “ভর্তুকি না দেওয়া হলে, এলনকে সম্ভবত দোকান বন্ধ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হত।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচিত। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানরাও এই বিষয়ে সমালোচনা করেছেন। যদিও তৃতীয় কোনও রাজনৈতিক দল স্থাপনের চেষ্টা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। এর আগে ১৯৯২ সালে ধনকুবের রস পেরোট এককভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি মোট পপুলার ভোটের এক পঞ্চমাংশ পেলেও কোনও রাজ্যেই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি।

Keywords: Trump vs Musk, Elon Musk America Party, Elon Musk political party, Trump Musk conflict, US politics 2025

এলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
Donald Trump: ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর! সরকারি দপ্তরের ১৩৯ জন কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হল
এলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
Trump: ভর্তুকি না দিলে দোকানই বন্ধ হয়ে যাবে - নতুন দল গড়ার কথা বলতেই মাস্ককে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের!

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in