

মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নীতির বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর করে বিপাকে আমেরিকার সরকারি কর্মীরা। আমেরিকার সরকারি পরিবেশ সংস্থা এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি বা ইপিএ-র ১৩৯ জন কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
পরিবেশনীতির তোয়াক্কা না-করেই ট্রাম্প প্রশাসন দূষণকারীদের সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে গণস্বাক্ষর অভিযানে নেমেছিলেন ইপিএ-র প্রায় ১৭০ জন কর্মী। পাশাপাশি, বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের অনুমতি নিয়েও মার্কিন প্রসিডেন্ট যে নির্দেশনামায় সই করেছিলেন, তারও বিরোধিতা করা হয়েছে।
সোমবার সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসে। যেখানে সই রয়েছে ইপিএ-র বর্তমান কর্মীদের পাশাপাশি অনেক প্রাক্তন কর্মীরও। এমনকি প্রায় ১০০ জন কর্মী স্বাক্ষর করেছিলেন বেনামে। যদিও প্রকাশ্যে আনা চিঠিতে কর্মীদের নামগুলি উল্লেখ করা হয়নি।
চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরেই বৃহস্পতিবার ইপিএ-র তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়েছে, যদি কোনও আমলা সরকারি নীতির বিরোধিতা করেন, তবে তা বরদাস্ত করা হবে না। চিঠি লিখে জনসমক্ষে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য ১৩৯ জন কর্মীকে দু'সপ্তাহের জন্য ছুটিতে পাঠানো হল। এবিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে 'জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রাহণ করা হবে।
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রাপ্ত ইমেলের একটি অনুলিপি অনুসারে, কর্মীদের জানানো হয়েছে, এবিষয়ে প্রশাসনিক তদন্ত হবে। যদিও কর্মীদের বোঝা উচিত, এটা কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়।
ইপিএ আমেরিকায় মানুষের শরীর-স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর গবেষণা চালায়। সেই মতো তারা সরকারকে কোনও প্রস্তাব বা পরামর্শও দেয়। সম্প্রতি সংস্থাটির কাঠামোয় একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। গবেষণা সংক্রান্ত শাখাটি বন্ধের পরিকল্পনা চলছে। এমনকি ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। এই গবেষণায় কয়েক কোটি টাকা অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এর আগে জুন মাসে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের (এনআইএইচ) বিজ্ঞানীরা একই রকম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যেখানে প্রায় ১০০ কর্মী ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর করেছিলেন। এছাড়া আরও ২৫০ জন কর্মী নাম ব্যবহার না করেই তাতে সমর্থন জানিয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, এনআইএইচ মিশনকে দুর্বল করে এমন নীতি, জনসাধারণের সম্পদের অপচয়, আমেরিকান এবং বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তবে সংস্থার পক্ষ থেকে এনিয়ে কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন