
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভয়ঙ্কর ড্রোন ও মিশাইল হামলা চালালো রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটাই সবথেকে বড় ড্রোন হামলা বলে জানা যাচ্ছে। হামলায় কমপক্ষে ২৩ জনের গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথা হয়। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া রাতে ৫৩৯টি ড্রোন ও ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কিয়েভ জুড়ে সাইরেন, বিস্ফোরণ ও ড্রোনের শব্দে আতঙ্ক ছড়ায়। ৪৭৮টি ড্রোন ও একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেন। তবে ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৬১টি ড্রোন আঘাত হানে।
বহু বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মেট্রো স্টেশনে সপরিবারে আশ্রয় নেন। কিয়েভের প্রায় ৪০টি আবাসিক ভবন, পাঁচটি স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন, রেল পরিকাঠামো, ক্যাফে ও বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পোল্যান্ড জানিয়েছে, তাদের দূতাবাসের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কর্মীরা নিরাপদে রয়েছেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে "ইচ্ছাকৃত এবং নিন্দনীয়" বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি জানান, ট্রাম্প ও পুতিনের কথোপকথনের খবর প্রকাশের সময়ই বিমান হামলার সতর্কতা শুরু হয়। তিনি বলেন, “আবারও প্রমাণিত হলো, রাশিয়ার শান্তি স্থাপনে কোনো আগ্রহ নেই।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো অব্যাহত। উভয় পক্ষই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করার অভিযোগ অস্বীকার করলেও হাজার হাজার নিরীহ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুতিনের সাথে ফোনালাপ নিয়ে ট্রাম্প বলেন, 'আমাদের কথা হয়েছে। বেশ কিছুক্ষণই আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছি। কিন্তু এই আলোচনায় কোনও সমাধান বেরোয়নি। আমি খুব একটা খুশি নই'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন