চিলির কমিউনিস্ট নেতা জেনাট জারা (Jeannette Jara) আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বামপন্থী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। চিলির (Chile) প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী জারা রবিবারের প্রাথমিক নির্বাচনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর চিলির ২০২৬ থেকে ২০৩০ মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবারের জয়ের পর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চিলির কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য জারা লিখেছেন, দক্ষিণপন্থীদের হুমকির মুখে আমরা ঐক্য, বক্তব্য এবং আশার সঙ্গে এগিয়ে চলেছি। রবিবারের নির্বাচনে জারা পরাজিত করেছেন সেন্টার লেফট পার্টি ফর ডেমোক্র্যাসির ক্যারোলিনা তোহাকে। এদিন তিনি আরও লেখেন, “আরও ন্যায়সঙ্গত এবং গণতান্ত্রিক চিলি গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আজ থেকে একটি নতুন পথ শুরু হচ্ছে, যেখানে আমরা একসাথে হাঁটব। যারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ! এখন আসুন কাজ চালিয়ে যাই।”
আইনজীবী এবং চিলির কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য জেনাটে জারা, যিনি রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পদত্যাগ করার আগে গ্যাব্রিয়েল বোরিক (Gabriel Boric) সরকারের শ্রমমন্ত্রী ছিলেন, তিনি ৬০.৫% ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঐতিহ্যবাহী ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা, যিনি অনেকটাই এগিয়ে আছেন বলে বিবেচিত হয়েছিলেন, তিনি ২৭.৭% ভোট পেয়েছেন।
মেয়াদের কারণে, চিলির বর্তমান বামপন্থী রাষ্ট্রপতি, ৩৯ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েল বোরিক, টানা দ্বিতীয়বারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তাঁর জায়গায় বামপন্থী দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৫১ বছর বয়সী জারা।
আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে চিলির বর্তমান সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ৫১ বছর বয়সী জারা, মধ্য-দক্ষিণপন্থী এবং অতি-দক্ষিণপন্থী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছেন।
যদিও জারা'র এই জয় বোরিকের জোটের মধ্যে কট্টরপন্থীদের উত্থানের প্রতিনিধিত্ব করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জারা তাঁর কিছু কমিউনিস্ট সহকর্মীদের তুলনায় কম গোঁড়া এবং বেশি কূটনৈতিক। শ্রমমন্ত্রী হিসেবে, তিনি সাফল্যের সঙ্গে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি এবং কর্ম সপ্তাহ ৪০ ঘন্টায় কমিয়ে আনতে সফল হয়েছেন। যা তাঁর অর্জিত জনপ্রিয়তার বড়ো কারণ।
তিনি চিলির প্রাক্তন মধ্য-বাম রাষ্ট্রপতি এবং মহিলা ক্ষমতায়নের একজন আইকন মিশেল ব্যাচেলেটের সাথে তুলনা করেছেন, যিনি ২০০৬ থেকে ২০১০ এবং আবার ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত শাসন করেছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন