
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল আগেই। এবার দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইওন সুক ইওলকে গ্রেফতার করল সে দেশের পুলিশ। তবে এর আগেও তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ। কিন্তু প্রেসিডেন্টের বাসভবনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের বাধার মুখে পড়ে পিছু হটতে হয় ‘দুর্নীতি দমন শাখা’কে।
অবশেষে বুধবার প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার কোনও প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার হলেন। যদিও ইওনকে গ্রেফতার করার সময় আবারও বাধার মুখে পড়তে হয় সে দেশের ‘দুর্নীতি দমন শাখা’কে। প্রেসিডেন্টের বাসভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে সরাসরি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। প্রথমবারের তুলনায় অনেক বেশি প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল দক্ষিণ কোরিয়ান পুলিশ। প্রায় ৩০০০ পুলিশকর্মীর সঙ্গে অগ্নিনির্বাপক পরিকাঠামোও সঙ্গে নিয়ে এসেছিল তারা।
যদিও ইওন-এর আইনজীবী দাবি করেছেন – ‘ইওন ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি তদন্ত অফিসে (সিআইও) হাজিরা দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু তার আগে তাঁকে এইভাবে গ্রেফতার করা দেশবাসীরা ভাল ভাবে নেবেন না।’ ইওন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন – “দেশে অপ্রীতিকর রক্তপাত যাতে না হয়, তারজন্য আমি তদন্তকারী অফিসারদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত, যদিও এটি একটি অবৈধ তদন্ত তা সত্ত্বেও …”
ঘটনার সূত্রপাত গত ৩ ডিসেম্বর দেশ জুড়ে সামরিক আইন (মার্শাল ল) জারি করে দেশবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইওন সুক-ইওল। আইনসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে বরখাস্ত (ইম্পিচমেন্ট) হওয়ার পরে ইউনের বিরুদ্ধে তদন্তও চলছিল। এরমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দক্ষিণ কোরিয়ার এক জেলা আদালত। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতির বাসভবন তল্লাসিরও অনুমতি দিয়েছিল আদালত। মূলত, সামরিক আইন (মার্শাল ল) জারি করার জন্যই আদালত এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। তারপর থেকেই ‘দুর্নীতি দমন শাখা’ প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন