South Korea: আরও বিপাকে ইউন, দক্ষিণ কোরিয়ার শাসকদলের পক্ষ থেকেই রাষ্ট্রপতির ইস্তফার দাবি

People's Reporter: হান ডং-হুন বলেন – “আমি বিশ্বাস করি, ইউনকে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখা প্রয়োজন। সামরিক আইনের ঘোষণা অবৈধ, ভুল ছিল। এটা তিনি এখনও স্বীকার করেননি।
রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওল এবং শাসক দলের নেতা হান ডং-হুন
রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওল এবং শাসক দলের নেতা হান ডং-হুনগ্রাফিক্স - আকাশ
Published on

আরও বিপাকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওল। দক্ষিণ কোরিয়াতে সামরিক আইন (মার্শাল ল) জারি করে প্রবল বিক্ষোভের মুখে তা কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা খড়গহস্ত। সব বিরোধী দলই রাষ্ট্রপতিকে বরখাস্ত (ইম্পিচমেন্ট) করার উদ্যোগ নিয়েছে। এবার নিজের দলের নেতাদেরই বিরোধিতার মুখে পড়লেন রাষ্ট্রপতি ইউন।

ক্ষমতাসীন ‘পিপলস পাওয়ার পার্টি’র নেতা হান ডং-হুন রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওলকে সাংবিধানিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। অথচ তিনি আগে জানিয়েছিলেন – রাষ্ট্রপতির ইম্পিচমেন্টের বিরোধিতা করবেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর এই অবস্থান বদলের কারণ কী?

হান ডং-হুন জানিয়েছেন – “আমি গত রাতে জেনেছি রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কমান্ডারকে প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁদেরকে রাষ্ট্রবিরোধী বাহিনী হিসাবে চিহ্নিত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকেও নির্দেশ দিয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন – “আমি বিশ্বাস করি, ইউনকে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখা প্রয়োজন। সামরিক আইনের ঘোষণা অবৈধ এবং ভুল ছিল। এটা তিনি এখনও স্বীকার করেননি। ইউন রাষ্ট্রপতি হিসাবে থেকে গেলে আবার এই ধরণের চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যা দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে ‘উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি’।”

উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন ‘পিপলস পাওয়ার পার্টি’ এই সংকট নিয়ে নিজেরাই দ্বিধাবিভক্ত। তবে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইউনের ইম্পিচমেন্টের বিরোধিতা করবে তারা। ৩০০ সদস্যের আইনসভায় শাসক দলের সদস্য সংখ্যা ১০৮ জন। বিরোধীদের সদস্য সংখ্যা ১৯২। রাষ্ট্রপতিকে বরখাস্ত (ইম্পিচমেন্ট) করতে গেলে প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্তত ৮ জন শাসক দলের সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হবে। কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে বরখাস্ত করতে হলে দুই তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন।

মঙ্গলবার গভীর রাতে জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সামরিক আইন (মার্শাল ল) ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘কমিউনিস্ট বাহিনী’-র থেকে জাতিকে রক্ষা করতে এবং রাষ্ট্রবিরোধীদেরকে দমন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রবল বিক্ষোভের মুখে কয়েক ঘন্টার মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওল এবং শাসক দলের নেতা হান ডং-হুন
South Korea: রাষ্ট্রপতির ইস্তফা চেয়ে ধর্মঘটে শ্রমিক ইউনিয়ন, ইয়ুন-এর বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব
রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওল এবং শাসক দলের নেতা হান ডং-হুন
South Korea: প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ইস্তফা, আজ রাষ্ট্রপতির ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোট, টালমাটাল দক্ষিণ কোরিয়া

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in