
ফের বড়ো ছাঁটাইয়ের ধাক্কা আসতে চলেছে মার্কিন সংস্থা ওয়ালমার্টে। রয়টার্স সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে এবার ওয়ালমার্ট ছাঁটাই করতে চলেছে প্রায় ১,৫০০ কর্মী। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মূলত সংস্থার খরচ কমানোর জন্যই এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নর্থ ক্যারোলিনার অফিস বন্ধ করেছে ওয়ালমার্ট। যদিও ওই অফিসের কর্মীদের ক্যালিফোর্নিয়া এবং আরকান্সাস-এর অফিসে বদলি নেবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই ওয়ালমার্ট সংস্থায় কাজ করেন প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষ। সারা বিশ্বে এই সংস্থার কর্মী সংখ্যা প্রায় ২১ লক্ষ। আমেরিকার সর্ববৃহত আমদানিকারক সংস্থা হিসেবেও পরিচিত ওয়ালমার্ট। দেশের মোট আমদানির প্রায় ৬০ শতাংশই আমদানি করে এই সংস্থা। যার মধ্যে মূলত চিন থেকে আনা হয় জামাকাপড়, খেলনা, ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য।
সম্প্রতি ওয়ালমার্ট জানিয়েছে মে মাসের শেষ থেকেই তাদের বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়বে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নতুন শুল্ক নীতির কারণেই এই বৃদ্ধি হবে।
নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংস্থার বেশ কিছু পদ তুলে দেওয়া হবে এবং নতুন কিছু পদের সৃষ্টি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সংস্থার যে বিবৃতি পাওয়া গেছে তাতে বলা হয়েছে, আমাদের পরিকল্পনায় আগামী দিনে খুচরো বাজার আরও বাড়িয়ে তুলতে এই পদক্ষেপ জরুরি। সাম্প্রতিক ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে সংস্থার বিশ্বব্যাপী টেকনোলজি বিভাগ, ই কমার্স এবং বিজ্ঞাপন বিভাগে প্রভাব পড়তে চলেছে।
ওয়ালমার্ট ছাড়াও চলতি মাসেই ছাঁটাই শুরু করেছে মাইক্রোসফটও। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মোট কর্মীবাহিনীর ৩ শতাংশ বা ৬০০০ কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত ১৪ মে। গত দু’বছরের মধ্যে এটাই মাইক্রোসফটের সবথেকে বড়ো ছাঁটাই প্রক্রিয়া।
মাইক্রোসফটের এবারের ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে ওয়াশিংটন-এর অফিসের কর্মীরা। এই অফিস থেকে ১,৯৮৫ জনকে ছাঁটাই করা হবে। মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিশ্বজুড়েই এই ছাঁটাই হবে। সমস্ত স্তরে, সমস্ত বিভাগেই এই ছাঁটাই হবে। তবে এই ছাঁটাই হবে মূলত ম্যানেজার স্তরে।
গত বছরের জুন মাসের তথ্য অনুসারে মাইক্রোসফটে মোট কর্মরত আছেন ২,২৮,০০০ জন। যার মধ্যে ৫৫ শতাংশই কাজ করেন সংস্থার আমেরিকার বিভিন্ন দপ্তরে।
ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হলেও তার কোনও কারণ জানায়নি মাইক্রোসফট। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কিছু পরিবর্তন আনা এই মুহূর্তে জরুরি। সেই পরিবর্তনের অঙ্গ হিসেবেই এবং বাজারে নিজেদের উপস্থিতি আরও জোরদার করার জন্যেই এই ছাঁটাই করতে সংস্থা বাধ্য হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন