

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে কূটনৈতিক পর্যায়ে অনুরোধ জানালো বাংলাদেশ। তাঁর বিরুদ্ধে সে দেষে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে কূটনৈতিক পর্যায়ে ‘ভারবাল নোট’ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এদিন তিনি বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবার সময় একথা জানান।
তিনি আরও জানান, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে। এই চুক্তি অনুসারেই শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে পারে ভারত।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকা ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুন্যাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। শেখ হাসিনা ছাড়াও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাঁর প্রাক্তন উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রাক্তন সেনা এবং বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের বিরুদ্ধে। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই গণ অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকান্ড সহ বেশ কিছু মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেত্রী, ৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ৫ আগস্ট থেকে ভারতে আছেন। ওইদিন গণ অভ্যুত্থানের সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশে গেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী। ওই সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান মহম্মদ ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতের ঠিক পরপরই শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য বাংলাদেশের আবেদন কূটনৈতিক মহলে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি শেখ হাসিনা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট রাজ চলছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে যে রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে তার মূল চক্রী মহম্মদ ইউনুস।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধদের উপাসনালয়ের উপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। নতুন সরকারের অধীনে জামায়াত এবং সন্ত্রাসীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশ এখন একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে, যেখানে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। ইউনুসের নেতৃত্বে দারিদ্র্য দূরীকরণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের সরকারের অর্জিত সাফল্যগুলিকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন