

আফগানিস্তানের বেশ কয়েকজন মহিলা সাংবাদিক নিশ্চিত করেছেন যে সাম্প্রতিক সময়ে তালিবানিরা তাঁদের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধের মাত্রা বাড়িয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে তাঁদের ভবিষ্যত নিয়ে তাঁরা চিন্তিত বলেও সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন। মহিলা সাংবাদিকরা দাবি করেছেন, সম্প্রতি তালিবানি কর্মকর্তাদের ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একথা জানিয়েছে টোলো নিউজ।
টোলো নিউজের সাংবাদিক আমিনা হাকিমি রবিবার জানিয়েছেন, "আমরা দুটি ইভেন্ট কভার করতে গিয়েছিলাম; একটি অনুষ্ঠান ছিলো কাবুলের গভর্নরের ডাকে এবং তালিবানি সরকারের খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের ডাকে। আমাদের এই দুই অনুষ্ঠানের কোনোটিতেই যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।"
অন্য এক সাংবাদিক, সুহায়লা ইউসুফী দাবি করেছেন, "আফগানিস্তানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গুরুতর বিধিনিষেধের সম্মুখীন এবং এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সাংবাদিকদের, বিশেষ করে মহিলা সাংবাদিকদের কাজ করার পথে বড় বাধা সৃষ্টি করবে।"
এদিকে, আফগানিস্তানে মুক্ত গণমাধ্যমকে সমর্থনকারী বেশ কয়েকটি সংস্থা বলেছে যে মহিলা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা উদ্বেগজনক। আফগান সাংবাদিক নিরাপত্তা কমিটির আধিকারিক জামিল ওয়াকার জানান, "নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মহিলা গণমাধ্যম কর্মীদের সংখ্যা কমে গেছে এবং এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক।"
আফগানিস্তান ন্যাশনাল জার্নালিস্টস ইউনিয়নের মিডিয়া অফিসার মাসরুর লুৎফি বলেন, "আমরা এই সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা না রাখার জন্য অনুরোধ করছি। মহিলা সাংবাদিকদেরও পুরুষ সাংবাদিকদের মতই সাংবাদিক সম্মেলনে যোগদানের সমান অধিকার আছে"।
তালিবান কর্মকর্তারা যদিও দাবি করেছেন, তাঁরা সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান না।
টোলো নিউজ তালিবানিদের ডেপুটি মুখপাত্র ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, "এখনও পর্যন্ত, আমরা কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ পাইনি যে মহিলা সাংবাদিকরা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।"
গত ডিসেম্বরে, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (RSF) এবং আফগান ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (AIJA) দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৫ আগস্ট, ২০২১-এ আফগানিস্তানে তালিবানি দখলদারির পর থেকে দেশে ৪০ শতাংশ সংবাদমাধ্যম কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন