

মহারাষ্ট্রে সমস্ত সরকারি অফিসে বাধ্যতামূলক করা হল মারাঠি ভাষা। সোমবার এনিয়ে একটি নির্দেশ জারি করেছে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সরকার। নিয়ম না মানলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
মহারাষ্ট্র সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে সমস্ত সরকারি এবং আধা-সরকারি অফিসে কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে মারাঠি ভাষায় কথা বলতে হবে। তবে এই নির্দেশ শুধু মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের জন্য। বিদেশি বা ভিন রাজ্য থেকে আসা নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মারাঠি ভাষা বাধ্যতামূলক নয়।
নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, এই প্রস্তাবটি সরকারি অফিস, আধা-সরকারি সংস্থা এবং মহারাষ্ট্র সরকারের অধীনস্থ কর্পোরেশন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অফিসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই নির্দেশিকা লঙ্ঘনকে শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে গণ্য করা হবে। কর্মচারীরা নিয়ম না মানলে, তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অফিস বা বিভাগের ইনচার্জ অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। এমনকি, অভিযোগকারী যদি গৃহীত পদক্ষেপে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তাঁরা আরও হস্তক্ষেপের জন্য বিষয়টি মহারাষ্ট্র আইনসভার মারাঠি ভাষা কমিটির কাছেও পাঠাতে পারেন।
নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের বিভাগগুলি দ্বারা প্রদত্ত আবেদন, নোটিস, সাইনবোর্ড এবং বিজ্ঞাপনগুলিও শুধুমাত্র মারাঠিতেই হবে৷ উল্লেখ্য, গত বছর মার্চ মাসে কেন্দ্র সরকার একটি নীতি ঘোষণা করে। যেখানে বলা হয়, ব্যাঙ্ক-সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে তিনটি ভাষা –ইংরেজি, হিন্দি এবং আঞ্চলিকভাষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন