ওমিক্রন আতঙ্কে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পিছোচ্ছে না। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। এদিন লখনৌতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরাই নির্ধারিত সময়ে রাজ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এলাহাবাদ হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনার বিষয়ে বিবেচনা করতে বলা হয়েছিলো। এদিন পর্যবেক্ষণ শেষে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দেন, করোনা বিধি মেনে রাজ্যে ভোট হবে নির্দিষ্ট সময়েই।
গত ২৩ ডিসেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টে এক ব্যক্তির জামিন প্রসঙ্গিত এক মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন এক অথবা দুই মাস পিছিয়ে দেওয়া উচিৎ। বিচারপতি শেখর কুমার যাদব এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়’। আদালত কক্ষে বহু মানুষের ভিড় দেখার পর তিনি কোভিড-১৯ এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘যদি সম্ভব হয় তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। কারণ জনসভা, মিছিল মিটিং তখনই হতে পারবে যখন আমরা বেঁচে থাকবো।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে বিচারপতি বলেন, আদালত প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করে এবং তাঁকে অনুরোধ জানাচ্ছে যে এই ভয়ংকর মহামারীর রোধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক। এছাড়াও সমস্ত রকম জনসভা, মিছিল এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন বন্ধ করার কথা ভাবা হোক।
বিচারপতির বক্তব্য অনুসারে, থার্ড ওয়েভ আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। আমরা সেকেন্ড ওয়েভের ভয়াবহতা দেখেছি। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের সময় বহু মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। এখন উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন আসন্ন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনসভায় লাখো লাখো মানুষ জড়ো হচ্ছে, যেখানে কোভিড প্রোটোকল মানা অসম্ভব। এই ঘটনা যদি এখনই থামানো না যায় সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি সেকেন্ড ওয়েভের থেকেও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
- with Agency Inputs
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।