

কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য দুটি চার-চাকা কিনলো কেন্দ্র সরকার। এর একেকটির দাম ১২ কোটিরও বেশি। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ে থাকা গাড়িগুলোর মধ্যে সবথেকে দামি গাড়ি এটি। এর পোষাকি নাম 'গার্ড'। পুরো নাম মার্সিডিজ-মেবাচ এস ৬৫০ গার্ড। প্রস্তুতকারক সংস্থা মার্সিডিজ। প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি ব্যবহার করা রেঞ্জ রোভার ভোগ এবং টয়োটার ল্যান্ড ক্রুজার-এর থেকে অনেক বেশি আপগ্রেড এই গার্ড।
সম্প্রতি দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসের সামনে ঝকঝকে কালো রঙের প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাহনকে দেখা গেছে। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালে মার্সিডিজ তাদের এই নতুন সংস্করণটির আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছিল। এই গাড়ির বিশেষত্ব হলো আরোহীকে নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষমতা। ভিআর-১০ অর্থাৎ সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা দিতে পারে এই গাড়ি। তাবড় তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানরা সাধারণত এই গাড়ি কেনেন।
এস ৬৫০ গার্ড-এর বুলেট মোকাবিলার ক্ষমতা অসাধারণ। বর্মভেদী বুলেটও থামাতে পারে এই গাড়ি। এক্সপ্লোসিভ রেসিসট্যান্ট ভেহিক্যাল (EVR) ২০১০ রেটিং পেয়েছে এই গাড়ি। অর্থাৎ ২ মিটার দূরে ১৫ কেজির বিস্ফোরকও ফাটলে, এই গাড়ির কিছু হবে না। মাইনজাতীয় বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে গাড়ির নীচের অংশে রয়েছে বিশেষ সুরক্ষা বর্ম। গ্যাস আক্রমণ হলেও, গাড়ি ভেতরে বিশুদ্ধ বায়ু সরবরাহ করে গার্ড।
এই গাড়ির ইঞ্জিন ৬.০ লিটার টুইন-টুর্বো ভি ১২, যা সর্বোচ্চ ৫২৩ হর্স পাওয়ার এবং ৮৩০ নিউটন মিটার শক্তি উৎপাদন করতে পারে। ইলেকট্রনিকভাবে এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ১৯০ কিমি/ঘন্টায় সীমাবদ্ধ। এছাড়াও টায়ার পাংচার হলেও বিশেষ রান-ফ্ল্যাট টায়ারের সাহায্যে আরও ৩০ কিমি যেতে পারে গাড়িটি।
প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর থেকেই নিজের বাহন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সৌখিনতা দেখিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বুলেটপ্রুফ মাহিন্দ্রা স্কর্পিও চড়তেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই নিয়ে চারবার গাড়ি বদলেছেন তিনি। প্রথমে বিএমডব্লিউ-র সেভেন সিরিজের উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন একটি গাড়ি চড়তেন তিনি। এরপর কেনেন রেঞ্জ রোভারের ভোগ। তারপর কেনেন টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার। এই গাড়িতে ১৬টি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। এখন কিনলেন জোড়া গার্ড।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন