
কয়েকদিন আগেই অভিনেতা পরেশ রাওয়াল জানিয়েছিলেন, 'হেরা ফেরি ৩' ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে না। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জনপ্রিয় 'বাবুরাও' চরিত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন অভিনেতা। এরপরেই ২৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে তাঁকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে অক্ষয় কুমারের প্রযোজনা সংস্থা। সাত দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে, অপরাধ মামলা দায়ের করা হবে বলে দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে 'হেরা ফেরি ৩' -এর শুটিং। 'হেরা ফেরি' ফ্র্যানচাইজির তৃতীয় ছবিটি পরিচালনা করছেন বর্ষীয়ান পরিচালক প্রিয়দর্শন। ছবিটি প্রযোজনা করছিল অক্ষয়ের সংস্থা ‘কেপ অফ গুড ফিল্মস’। প্রযোজক ফিরোজ নাদিয়াওয়ালার কাছ থেকে স্বত্বাধিকার কিনে নিয়েছিলেন অক্ষয়। ছবির টিজারের শ্যুটিং হয়ে গিয়েছিল। টিজারে অক্ষয় কুমার, সুনীল শেট্টির সঙ্গে পরেশ রাওয়ালও রয়েছেন।
তবে ১৮ মে হঠাৎ করেই পরেশ রাওয়াল ঘোষণা করেন তিনি ছবিটি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। তবে কারণ তেমন ভাবে স্পষ্ট করেন নি। তিনি জানিয়েছিলেন, কাজ নিয়ে বা অর্থ সংক্রান্ত কোনও মতবিরোধ ঘটেনি তাঁর সঙ্গে। ছবির পরিচালককেও তিনি ভালবাসেন এবং শ্রদ্ধা করেন বলে জানান। সূত্রের খবর, প্রায় তিনগুণ পারিশ্রমিক পাচ্ছিলেন পরেশ এই ছবির জন্য।
এরপরেই জানা গেছে অক্ষয়ের প্রযোজনা সংস্থার তরফে পরেশ রাওয়ালকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অগ্রিম ১১ লক্ষ টাকা নিয়ে চুক্তি করেছিলেন পরেশ। প্রযোজনা সংস্থা জানিয়েছে, পেশাগত এবং বাণিজ্যিক নীতি লঙ্ঘন করেছেন পরেশ। কাজ যদি করতে না চান, তা হলে আইনি চুক্তি সই করার আগেই তা জানাতে পারতেন।
পরেশের আচরণে স্তম্ভিত পরিচালক প্রিয়দর্শনও। তিনি বলেন, "আমাকে কিছু জানাননি উনি, বেরিয়ে যাওয়ার কারণ জানাননি। খুব আহত হয়েছি আমি। একসঙ্গে একাধিক ছবি করেছি আমরা। ফের ওঁকে পরিচালনা করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম।"
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে 'হেরা ফেরি' ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর ২০০৬ সালে ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় ছবি 'হেরা ফেরি ২' সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল। দুটি ছবিই দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন