
১০ মার্চ, কলকাতা- আজ মমতা, পরশু শুভেন্দু। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে সবথেকে হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের এই দুই প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং তার আগে মনোনয়নপত্র পেশ করা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে।
বুধবারই নন্দীগ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভা করেছেন। আজ বেলা আড়াইটে নাগাদ হলদিয়া প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন পেশ করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। প্রথমে বেলা একটা নাগাদ নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার শিবমন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। সেখান থেকে বেলা দু'টোয় হলদিয়ায় এসে এক কিলোমিটারের একটি পদযাত্রা করে মনোনয়নপত্র পেশ করবেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "নিয়ম মেনেই তিনি জমা দেবেন মনোনয়ন।" এদিনই কলকাতায় ফিরলেও নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নম্বর ব্লকে খুব শীঘ্রই দুটি মিছিল করবেন মমতা।
২০২০ সালের শেষে ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর জানুয়ারি মাসে একটি জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন তিনি নন্দীগ্রাম এবং ভবানীপুর এই দুই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদিও শেষপর্যন্ত তিনি শুধু নন্দীগ্রামেরই প্রার্থী হন। তবে তিনি আগেই বলেছিলেন নন্দীগ্রামে প্রচারে তিনি খুব বেশি উপস্থিত হতে পারবেন না। কিন্তু নির্বাচনের পর অবশ্যই নিয়মিত আসবেন। তাঁর প্রচার থেকে নির্বাচনী কাজ দেখাশোনা করতে তৈরি হয়েছে বিশেষ দল। যার দায়িত্বে আছেন রাজ্যসভার দুই সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও দোলা সেন। এছাড়া বিশেষ দায়িত্বে আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন।
আর এখানেই বাজিমাত করার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজেকে ভূমিপুত্র হিসেবে তুলে ধরে ইতিমধ্যে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। বহিরাগত ইস্যু নিয়েও প্রচার চলছে। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছেন, তিনি নন্দীগ্রামের ভোটার। ভোট দেওয়ার জন্য অন্য কোথাও যেতে হবে না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানকার ভোটার নন। তাঁকে অন্যত্র ভোট দিতে যেতে হবে। শুভেন্দুর দাবি- তিনি নন্দীগ্রামের প্রতিটি এলাকাকে নিজের হাতের তালুর মতোই চেনেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন