

২৬ বছর পর চোকার্স তকমা ঘুচতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল জিততে প্রোটিয়াদের দরকার ২ দিনে ৬৯ রান। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া কোনো চমক না দেখাতে পারলে ২০২৩-২৫ মরসুমের চ্যাম্পিয়ন হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
লর্ডসে তৃতীয় দিনের শেষে চাপে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এবং ওপেনার এইডেন মার্করামের অনবদ্য পার্টনারশিপে ট্রফি জয়ের অনেক কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তৃতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়াকে ২০৭ রানে অল আউট করে ব্যাট করতে নামে প্রোটিয়ারা। লক্ষ্য ছিল ২৮৩ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই রিকাল্টনের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে মুল্ডারের সাথে জুটি বাঁধেন মার্করাম। দলের ৭০ রান এবং নিজের ২৭ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন মুল্ডার। ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক বাভুমা।
প্রথম দিকেই হ্যামস্ট্রিং-র সমস্যায় পড়েন বাভুমা। সেই পা নিয়েই মার্করামের সাথে ১০০ রানেরও বেশি পার্টনারশিপ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ট্রফি জয়ের অনেক কাছে এনে দিয়েছেন তিনি। দিনের শেষে ১২১ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত আছেন বাভুমা। অন্যদিকে মার্করাম ১৫৯ বলে ১০২ রানে অপরাজিত আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২ উইকেটের বিনিময়ে ২১৩ রান।
বাকি ২ দিনে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ৬৯ রান। এখনও ৮ উইকেট রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। ১৯৯৮ সালে শেষ কোনো আইসিসি ট্রফি (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপর থেকে প্রতিটি টুর্নামেন্ট থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। শেষ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের কাছে পরাজিত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
উল্লেখ্য, বাভুমার নেতৃত্বে এখনও পর্যন্ত একটিও টেস্ট ম্যাচ হারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তাঁর অধিনায়কত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯টি টেস্ট খেলেছে। যার মধ্যে ৮টি জয় ও একটি ড্র রয়েছে। এখন দেখার চতুর্থ দিনের শুরু থেকে কে কাকে চাপে রাখে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন