
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে ২০২৫ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর সূচিতে বড়সড় পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে বিসিসিআই। যার ফলে বিদেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতি নিয়ে সমস্যায় পড়েছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের আইপিএল থেকে ফেরানো নিয়ে উত্তেজনা চরমে। কারণ দুই দেশই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ফাইনালে অংশ নেবে।
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) জানিয়ে দিয়েছে, তাদের খেলোয়াড়দের ২৬ মে-র মধ্যে দেশে ফিরে আসতে হবে, যা ছিল বিসিসিআই ও সিএসএ-র মধ্যে প্রাথমিক চুক্তির অংশ। যদিও বিসিসিআই বর্তমানে ফাইনাল পিছিয়ে ৩ জুন করেছে। তাছাড়া লিগ পর্বও শেষ হবে ২৭ মে-র পরে। এই কারণেই বিসিসিআই এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে চাপানউতোর চলছে।
১৩ মে ঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) চূড়ান্ত দলে রয়েছেন করবিন বোশ, উইয়ান মুলডার, মার্কো জ্যানসেন, এইডেন মার্করাম, লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাডা, রায়ান রিকেলটন এবং ট্রিস্টান স্টাবস। যাঁরা সবাই বর্তমানে বিভিন্ন আইপিএল দলের সঙ্গে যুক্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ শুকরি কনরাড বলেন, “আমাদের খেলোয়াড়দের ২৬ মে-র মধ্যে ফেরত আসতেই হবে, যাতে প্রস্তুতির সময় পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।”
ক্রিকেট পরিচালক এনোক এনকওয়ে জানান, “বিসিসিআই ও আইপিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি।”
তবে যেসব প্রোটিয়া খেলোয়াড় ডব্লিউটিসি ফাইনালে অংশ নিচ্ছেন না, তাঁদের নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। যেমন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, ফাফ ডু প্লেসিস, কুইন্টন ডি কক, হেনরিখ ক্লাসেনসহ আরও অনেকে ফাইনাল পর্যন্ত আইপিএল-এ থাকতে পারবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ডব্লিউটিসি (WTC) ফাইনালের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচিত খেলোয়াড়দের ৩১ মে ইংল্যান্ডের আরুন্ডেলে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। ৩-৬ জুন পর্যন্ত জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ১১ জুন শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ফাইনাল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন