
ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ হলেন কার্লো আনচেলত্তি। তিনিই প্রথম কোনও বিদেশি কোচ যিনি ব্রাজিলে ফুটবল দলের দায়িত্ব নিলেন। আগামী ২৬ মে থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
২০০২ সালে শেষ বার ফুটবল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। তারপর থেকে কার্যত ব্যর্থতা। সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিলের পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েছে। একাধিক তারকা ফুটবলার নিয়েও ছন্দে নেই দল। এই অবস্থায় ব্রাজিল ফুটবলের হাল ধরলেন ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
আনচেলত্তি মাঠ ও ডাগআউটে তাঁর ঠান্ডা মাথার সিদ্ধান্ত এবং স্থিরতার কারণে পরিচিত ফুটবল জগতে। রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি, বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজির মতো ক্লাবে তিনি একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন।
আনচেলত্তির অন্যতম বড় শক্তি তাঁর ম্যান-ম্যানেজমেন্ট। ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো, এডার মিলিতাও — এই প্রতিভাবান ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়রা তাঁর অধীনেই ইউরোপীয় ফুটবলে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। ফলে জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমে মনোরম পরিবেশ তৈরি করতে বিশেষ কিছু করতে হবে না তাঁকে।
আনচেলত্তি হলেন ব্রাজিল জাতীয় দলের ইতিহাসে প্রথম বিদেশি কোচ। ইতোমধ্যেই ইউরোপের পাঁচটি শীর্ষ লিগ ও পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ইতিহাস গড়েছেন। কিন্তু বিশ্বকাপ— ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে সাফল্য এখনও অধরা।
এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ৬৫ বছর বয়সী এই কোচ বুঝিয়ে দিয়েছেন— তিনি এখনো থামেননি। ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ তাঁর জীবনের নতুন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জিকো বলেন, "আনচেলত্তি আদর্শ কোচ হবেন কারণ প্রতিপক্ষ সহ সকলেই তাঁকে সম্মান করেন। তিনি খেলোয়াড়দের গুরুত্ব দিতে জানেন। ফুটবলের কৌশলগুলি খুব ভালো বোঝেন।"
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলে হারের পরই ব্রাজিলের কোচের পদ থেকে ছাঁটাই করা হয় ডোরিভাল জুনিয়রকে। তারপর থেকেই কার্লো আনচেলত্তি এবং আল হিলালের কোচ জর্জ জেসুসের দিকে নজর ছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)-র।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন