

এখনও উত্তরপ্রদেশে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে মহিলারা রাতে বেরোতে ভয় পান। একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল তথা গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেল। পাশাপাশি গুজরাটে মদ নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দেওয়ার আলোচনার তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।
রবিবার নিজের জীবনী ‘চুনৌতিয়াঁ মুঝে পসন্দ হ্যায়’–এর গুজরাটি সংস্করণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আনন্দীবেন বলেন, “গুজরাটে মহিলারা রাত পর্যন্ত গরবা খেলতে পারে, তার কারণ সেখানে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। আমি শুনছি গুজরাটে মদ নিষেধাজ্ঞায় কড়াকড়ি উঠে যাবে। জানি না বিষয়টি সত্যি কিনা। যদি সত্যি হয় তাহলে খুব খারাপ হবে। উত্তরপ্রদেশে এখনও অনেক জায়গায় পরিস্থিতি এমন, যেখানে মহিলারা বাইরে বেরোতে পারেন না।”
তিনি আরও বলেন, "সবকিছু করার আগে আমাদের অনেক চিন্তা করা উচিত। এর পরিণতি কী হবে? দেখুন যারা এখানে এসিএস (অতিরিক্ত মুখ্যসচিব) এবং সিএস (মুখ্যসচিব) ছিলেন তাঁদের পরিবারগুলি (অবসর গ্রহণের পরে) কোথায় বসতি স্থাপন করেছে? তাঁরা কি (তাঁদের নিজ রাজ্যে) ফিরে গেছেন নাকি গুজরাটে বসতি স্থাপন করেছেন? কেন তাঁরা গুজরাটে বসতি স্থাপন করেছিলেন? তাঁরা তাঁদের মেয়েদের জন্য, মহিলাদের জন্য শান্তি চায় এবং সেই শান্তি লঙ্ঘন হতে দেওয়া যাবে না।"
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরা নিজেদের বক্তব্য রেখে অন্য এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলে যান। অমিত শাহকে ‘চাণক্য’ আখ্যা দেন আনন্দীবেন। তিনি বলেন, “ওঁকে সবাই চাণক্য বলে জানেন। তিনি সত্যিই চাণক্য। কাকে এগিয়ে দিতে হবে, তা ভালোভাবেই জানেন। মন্ত্রিসভায় আমরা একসঙ্গে বসতাম। তিনি নরেন্দ্রভাই মোদীকেও পরামর্শ দিতেন কী করা উচিত।”
২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্যাটেল মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ৮৪ বছর বয়সী আনন্দীবেন প্যাটেল ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। গুজরাট যখন বিভিন্ন সম্প্রদায়-ভিত্তিক আন্দোলনের মুখোমুখি হচ্ছিল, তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, যার মধ্যে পাতিদার কোটা আন্দোলন ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন