ইন্ডিগো বিমান সংস্থা যাই দাবি করুক বা সংস্থার সিইও-কে যতই শো-কজ করা হোক না কেন, সোমবার সপ্তম দিনেও উড়ান বিভ্রাট জারি। সৌজন্যে, ইন্ডিগো বিমান সংস্থা। এদিন বেলা এগারোটা পর্যন্ত সংস্থার ৩০০-র বেশি বিমান উড়ান বাতিল হয়েছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে শীর্ষে দিল্লি। যেখানে মোট ১৩৪ টি যাওয়া এবং আসার বিমান বাতিল হয়েছে (৭৫টি যাওয়া এবং ৫৯টি আসার বিমান)।
দিল্লি ছাড়াও সোমবার বড়ো সংখ্যায় ইন্ডিগোর বিমান উড়ান বাতিল হয়েছে বেঙ্গালুরু থেকেও। এছাড়াও বিশাখাপত্তনম, আহমেদাবাদ, মুম্বাই ও কলকাতা বিমান বন্দর থেকেও বেশ কিছু উড়ান বাতিল করেছে সংস্থা। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে বেঙ্গালুরু থেকে বাতিল হয়েছে ১২৭টি উড়ান (৬২টি যাওয়া এবং ৬৫টি আসার বিমান)।
এদিন দিল্লি এয়ারপোর্ট অথরিটির পক্ষ থেকে তাদের এক্স হ্যান্ডেল (পূর্বতন ট্যুইটার)-এ জানানো হয়েছেন, ইন্ডিগো বিমান চলাচলে দেরি হতে পারে। যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে বিমানবন্দরে আসার আগে তাদের বিমান উড়ান সম্পর্কিত তথ্য জেনে তাঁরা যেন বিমানবন্দরে আসেন।
ইন্ডিগো সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রবিবার সংস্থা দেশজুড়ে ১৬৫০টি বিমান উড়ান চালিয়েছে। রবিবারও সংস্থাটি বাতিল করেছে ৬৫০ উড়ান। ডিসেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সংস্থার বিমান উড়ান পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। গত মঙ্গলবার থেকে ইন্ডিগো প্রায় ৪,৫০০ উড়ান বাতিল করেছে।
ইন্ডিগো বিপর্যয়ের মধ্যেই সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অসম্মতি জানিয়েছে। ইন্ডিগোর বিমান উড়ান বাতিল এবং যাত্রী হয়রানির প্রসঙ্গে এক আবেদন শুনতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
এই বিষয়ে তবে, আদালত জানিয়েছে, কেন্দ্র বিষয়টি নজরে রেখেছে। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত জানিয়েছেন, আমরা বুঝতে পারছি যে লক্ষ লক্ষ মানুষ আটক হয়ে পড়েছে। হয়তো কিছু মানুষের জরুরি কাজ আছে, এবং তারা তা করতে পারছেন না... কিন্তু ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করেছে। আমরা মনে করছি এই বিষয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই এখনই কোনও আবেদন শোনা জরুরি বলে আমরা মনে করছি না।
অন্যদিকে ইন্ডিগোর এই বিপর্যয়ের জেরে সংস্থার মূল কোম্পানি ইন্টার গ্লোব অ্যাভিয়েশন লিমিটেডের শেয়ারের দাম সোমবার ৭ শতাংশ নেমেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন