

গোয়ার এক জনপ্রিয় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ছ’জন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। ক্লাবের মালিক এবং জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
উত্তর গোয়ার আরপোরায় অবস্থিত বার্চ বাই রোমিও লেন নাইটক্লাবে শনিবার রাত ১টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১৪ জন হোটেলের কর্মী, চার জন পর্যটক বলে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, আগুন লাগার সময় হোটেলটিতে প্রায় ১০০ জন ছিলেন। বেশিরভাগই বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। বাকিরা বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ধোঁয়ার কারণে দমবন্ধ হয়ে তাঁদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ক্লাবটির সৌন্দর্যায়নের জন্য তালপাতা দিয়ে সাজানো হয়েছিল। সেগুলিতে আগুন ধরে যাওয়ায়, দ্রুতগতিতে তা ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানান, “দোতলায় নাচগান চলছিল। তার ঠিক পাশেই আগুন লেগেছিল। আতঙ্কিত হয়ে সকলে একসঙ্গে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামার চেষ্টা করেন। এর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে বেসমেন্টে থাকা রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন।“
স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্লাবে প্রবেশ এবং বার হওয়ার রাস্তা চওড়া নয়। ফলে দমকলের গাড়ি ক্লাবের কাছে আসতে পারেনি। ৪০০ মিটার দূরে গাড়ি দাঁড় করাতে হয়। সেখান থেকেই পাইপের মাধ্যমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা। এরপর কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই ঘটনাকে "গোয়ার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক দিন" বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "ঘটনার উপর নজর রাখছি। ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তাঁরা সর্বোত্তম চিকিৎসা পরিসেবা পাচ্ছেন। ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’’
নাইটক্লাবটি আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে। মালিক এবং ম্যানেজমেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন