

ভারতের থেকে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ফ্রান্স, জাপান সহ এমন অনেক কম জনসংখ্যার দেশ রয়েছে যারা অলিম্পিক্সে প্রচুর পদক জিতেছে। এমনকি প্রায় ভারতের সমান সংখ্যক জনসংখ্যার দেশ হয়ে অলিম্পিক্সের মঞ্চে চূড়ান্ত সফল চীনও। কিন্তু ভারত এগুলোর ধারে কাছেও নেই। ভারতের এই পিছিয়ে থাকার কারণ জানালেন ভারতের ফুটবল টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। সেখানেই সুনীল বলেন, 'আমাদের ১৫০ কোটি জনসংখ্যা থাকা স্বত্বেও অলিম্পিক্সে বেশি পদক জিততে পারি না। আমরা আসলে মানুষের মধ্যে থাকা প্রতিভাকে চিহ্নিত এবং তা লালন পালন করতে পারি না। চীন, আমেরিকা, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলি এইসব ক্ষেত্রে আমাদের থেকে বহু মাইল এগিয়ে'।
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আরও জানান, 'অনেকেই বলেন আমাদের দেশে প্রতিভার অভাব নেই। কথাটা ১০০ শতাংশই ঠিক। কিন্তু ধরুণ আন্দামানের ৫ বছরের একটি শিশু হয়তো নিজের অজান্তেই ভালো ফুটবল খেলেছিল বা জ্যাভলিন থ্রো করেছিল। পরে সে বড় হয়ে কোনও কল সেন্টারে কাজ করতে শুরু করে'।
ওই অনুষ্ঠানেই সুনীল জানিয়ে দেন, 'সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিভা চিহ্নিত করতে না পেরে আমরা পিছিয়ে আছি। আর এই মন্তব্যের জন্য যদি কেউ আমাকে মেরে ফেলতে চায় আমি পরোয়া করি না'।
উল্লেখ্য, অলিম্পিক্সে আমেরিকা এখনও পর্যন্ত জিতেছে ২৯৫৯টি পদক, রাশিয়া জিতেছে ২০১১টি পদক, জার্মানি ১৮২১টি পদক, গ্রেট ব্রিটেন ৯৫০টি পদক, চীনের দখলে রয়েছে ৭১৩টি, ফ্রান্সের দখলে ৮৮৯টি পদক, ইতালি জিতেছে ৭৫৯টি পদক, স্যুইডেন ৬৭৯টি, নরওয়ে ৫৬৮টি পদক এবং জাপান জিতেছে ৫৭৩টি পদক। এই তালিকায় ভারত অনেক পিছিয়ে। ভারত মোট পদক জিতেছে ৩৫টি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন