

গত ৩ বছর কোনও চাকরি নেই প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ী শ্যুটার মানু ভাকেরের কোচ যশপাল রানার। কঠিন চ্যালেঞ্জের কথা বলতে গিয়ে কার্যত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁর একটি চাকরি দরকার বলেও জানান যশপাল।
RevSportz-এর সাথে কথোপকথন কালে মানু ভাকেরের কোচ যশপাল রানা বলেন, "আমি কেউ নই। আমি একজন বেকার কোচ। তারকা হচ্ছে তো মানু। মানুই আমাকে সাহায্য করতে বলেছিল। আমি শুধু সেই কাজটাই করেছি। ওই আমাকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। ও যতদিন চাইবে আমি ওকে কোচিং করাবো। আমার কোচিং করানোর ধরণ একটু আলাদা। এখনকার বাচ্চারা অনেক স্মার্ট। তারা জানে কী করতে হয়। আমি শুধু ছোটো ছোটো কিছু জিনিস পরিবর্তনের জন্য কোচ হয়েছিলাম"।
তিনি আরও জানান, "টোকিও অলিম্পিক্সে ব্যর্থতার পর আমাকে এবং মানুকে অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন। একাধিক কটূক্তি শুনতে হয়েছিল আমাদের। কিন্তু মানু প্যারিসে পদক জেতার পর ওই সমালোচকদের মধ্যে অনেকেই আমাদের ইন্টারভিউ নিতে চেয়েছেন। দেখে বেশ ভালোই লাগলো। সকলে ব্যর্থতাটাই দেখেন। এর পিছনে পরিশ্রম দেখেন না। গত ৩ বছর আমি কোনও বেতন পাইনি। ভারতের জাতীয় রাইফেল সংস্থার বা অন্য কোনও সংস্থা আমাকে সাহায্য করেনি"।
যশপাল বলেন, শীঘ্রই আমাকে চাকরি খুঁজতে হবে। একটা স্থায়ী উপার্জনের দরকার আমার। তিন বছর খুব কষ্ট করে জীবন কাটিয়েছি। বর্তমানেও একই অবস্থা। একাধিক বাধার সম্মুখীন হয়েও আমি আমার লক্ষ্যে স্থির ছিলাম। সেটা বাস্তব করলো মানু।
প্রসঙ্গত, মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতে নজির গড়েছেন মানু। মঙ্গলবার ফের একটা ব্রোঞ্জ পদক জয়ের লক্ষ্যে নামছেন তিনি। ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিক্সড ইভেন্টে তাঁর সঙ্গী সরবজোৎ সিং। আজকে পদক জিতলে স্বাধীন ভারতের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে ইতিহাস লিখবেন মানু ভাকের। ভারতীয় সময় দুপুর ১টায় পদক জয়ের জন্য খেলবেন মানু এবং সরবজোৎ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন