

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বিপক্ষ দলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাচ্ছেন। যেকোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ।
আইসিসি টুর্নামেন্টগুলিতে তেমন কোনো সাফল্য নেই বাংলাদেশের। তবে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল তারা। সেটাই তাদের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে (ICC-র) সেরা পারফর্ম্যান্স। তবে এবার অন্য বাংলাদেশকে খেলতে দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব। যারা যেকোনও দলকে হারিয়ে দিতে পারে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তেমনটাই দাবি করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত বলেন, 'আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাচ্ছি। এই টুর্নামেন্টে আটটি দলই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্য। তারা সবাই যোগ্যতাসম্পন্ন দল। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলের ক্ষমতা আছে ট্রফি জেতার। কেউই অতিরিক্ত চাপ অনুভব করবে না।'
তিনি আরও বলেন, "সবাই সত্যিই চ্যাম্পিয়ন হতে চায় এবং নিজেদের সামর্থ্যের উপর বিশ্বাস করে। আমরা জানি না উপরওয়ালা আমাদের ভাগ্যে কী লিখে রেখেছেন। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি এবং আমাদের সেরাটা দিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।"
শান্ত এও জানান, "দলের ১৫ জন খেলোয়াড় নিয়ে আমি খুব খুশি এবং আত্মবিশ্বাসী। কিছু দিন আগেও আমাদের কাছে বিশ্বমানের পেস বোলার ছিল না। কিন্তু এখন আমাদের একটি শক্তিশালী পেস বোলিং ইউনিট রয়েছে। আমাদের আগে রিস্ট স্পিনার ছিল না, কিন্তু এখন আছে। সামগ্রিকভাবে, আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ দল আছে। যদি সবাই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তাহলে আমরা যেকোনো সময় যেকোনো দলকে হারাতে পারব"।
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড। ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্ট অভিযান শুরু করবেন শান্তরা। তারপর ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাঁদের।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে অর্থাৎ গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু ভারতের কাছে ৯ উইকেটে লজ্জাজনকভাবে হারতে হয় বাংলাদেশকে। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান করেছিলেন তামিম ইকবালরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ১২৯ বলে ১২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন রোহিত শর্মা।
বাংলাদেশের স্কোয়াড - নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, এমডি মাহমুদ উল্লাহ, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, পারভেজ হোসেন ইমন, নাসুম আহমেদ, তানজিদ হাসান, নাসুম আহমেদ এবং সাকিব হাসান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন