
ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ক্রাউডফ্রান্ডিং নিয়ে নানা মন্তব্য উঠে আসছে। যদিও এই বিষয়ে গুরুত্বই দিচ্ছেন না ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। নিজেদের ভিখারি বলে সম্বোধন করলেন তিনি।
শিলিগুড়িতে গিয়ে দেবব্রত সরকার জানান, আমরা তো ভিখারিই। ভিখারির থেকেও যদি কিছু খারাপ থাকে তাহলে আমরা সেটা। আমরা উদ্বাস্তু মানুষ ওপার বাংলা থেকে এসেছি। ভিখারি বললে আমরা গর্বিত হই। সবাই যেমন বড়লোক বললে আনন্দ পায় আমরা ভিখারি বললে আনন্দ পাই। গরিবিই আমাদের অহংকার। আমাদের শক্তি মানুষ আমাদের শক্তি সমর্থকরা। আমাদের শক্তি অর্থ নয়। তাহলে তো আমরা ক্লাবটাকে বিক্রি করে দিতাম। আমাদের পরের প্রজন্ম এসে বলতে পারবে ক্লাবটা ক্লাবের জায়গায় আছে হস্তান্তর হয়ে অন্য জায়গায় যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা খেলি ইস্টবেঙ্গল এফসি নামে। আমরা ক্লাবের সত্ব বিক্রি করে দিই নিই। এরথেকে বড় পাওনা কী আছে? ওপার বাংলা থেকে এসে গ্যালারির হাওয়া খেয়ে বড় হয়েছি আমরা। টাকাটা প্রধান নয় আমাদের কাছে। আমাদের কাছে মানুষ আর সমর্থকরাই সব।
মূলত আর্থিক সাহায্য চাইতেই জেলার দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। জেলায় গিয়ে সকল সদস্য সমর্থকদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন করছেন কর্তারা। শুধু ক্রাউডফান্ডিংয়ে টাকা দেওয়ার আবেদন নয়, জেলার সমর্থকরা যাতে ক্লাব সদস্য হন তার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। যেমন, রায়গঞ্জের টাউন ক্লাবে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন লাল-হলুদ কর্তারা। সদস্য হতে গেলে কত টাকা দিতে হবে সেই টাকার সংখ্যাও বলে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
সাধারণ সদস্য পদ গ্রহণ করতে হলে ৬০ হাজার টাকা আর আজীবন সদস্য পদ নিতে হলে দিতে হবে আড়াই লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ক্রাউডফান্ডিং ছাড়াও সদস্য পদ করে টাকা তোলাটাই এখন ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মূল লক্ষ্য। কারণ, স্পনসর বা ইনভেস্টর থাকলে দল গড়া থেকে দল পরিচালনা করবে সংশ্লিষ্ট স্পনসর বা ইনভেস্টর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন