

এবার সাক্ষী মালিকের পাশে দাঁড়িয়ে অর্জুন পুরস্কার ও খেলরত্ন পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন দু'বার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশীপে ব্রোঞ্জ জয়ী কুস্তিগীর ভীনেশ ফোগত।
বজরং পুনিয়া, বীরেন্দর সিং-র পর ভীনেশ ফোগত। ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচনে জয়ী সভাপতি ব্রিজ ভূষণ ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে একের পর এক কুস্তিগীর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। প্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন সাক্ষী মালিক। তিনি কুস্তি থেকে অবসর ঘোষণা করেন। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে পদ্মশ্রী সম্মান ফেরান কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া। পদ্মশ্রী ফিরিয়েছেন কুস্তিগীর বীরেন্দর সিং-ও। মঙ্গলবার খেলরত্ন ও অর্জুন পুরস্কার ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ভীনেশ।
গতকাল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ভীনেশ লেখেন, 'আমি আমার মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন এবং অর্জুন পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছি। ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের অসংখ্য ধন্যবাদ যাঁরা আমাকে এই পরিস্থিতিতে এনে দাঁড় করিয়েছেন'।
তিনি আরও লেখেন, "সাক্ষী মালিক কুস্তি ছেড়ে দিয়েছেন এবং বজরং পুনিয়া তাঁর পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিয়েছেন। কেন অলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগীরদের এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে? সেটা কিন্তু গোটা দেশ জানে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই আমরা আপনার দেশেরই মেয়ে। ২০১৬ সালে সাক্ষী মালিক অলিম্পিক পদক জেতার পর তাঁকে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছিল। আর এখন সেই সাক্ষীকেই কুস্তি ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে"।
পাশাপাশি ভীনেশ লেখেন, "আমরা গত ১ বছর ধরে আপনাকে সবটা জানানোর চেষ্টা করছি। ন্যায়বিচারের আশায় রাজপথে পড়ে থেকেছি। কিন্তু কেউ শোনেনি আমাদের কথা। বরং আমাদের শুনতে হয়েছে যে আমাদের পদকের মূল্য মাত্র ১৫ টাকা। আমাদের পদকের মূল্য যাই হোক না কেন সেগুলি আমাদের জীবনের থেকেই বেশি মূল্যবান। আবার যখন আমরা নিজেদের দাবি নিয়ে সোচ্চার হচ্ছি তখন দেশদ্রোহী বলে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রশ্ন আমরা কি সত্যিই দেশদ্রোহী?"
তিনি আরও লেখেন, "বজরং-র মতো আমিও আমার পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে চাই। কারণ এত সম্মান নিয়ে কী হবে যেখানে আমাদের গুরুত্বই নেই। আমি যখন পদক জিতেছিলাম আমার মা পুরো পাড়ায় মিষ্টি বিতরণ করেছিল। সকল আত্মীয়রা এখন আমার মা'কে কী বলবে সেটাই আমি ভেবে পাচ্ছি না"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন