প্রথমবার বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করে ইতিহাস উজবেকিস্তান ও জর্ডনের! ১৫০ কোটির দেশ ভারত এখনও ব্যর্থ
বিশ্ব ফুটবলে ইতিহাস গড়লো উজবেকিস্তান এবং জর্ডন। দুই দেশই প্রথমবারের মতো ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। কিন্তু প্রায় ১৫০ কোটির দেশ ভারত এখনও বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না।
এশিয়া থেকে মোট ৮টি দেশ ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে। ইতিমধ্যেই জাপান, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডন এবং উজবেকিস্তান যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাকি রয়েছে ৩টি দেশ।
২০১৮ সালে উজবেকিস্তানের ফিফা র্যাঙ্কিং ছিল ৯৫, জর্ডনের ছিল ১১০ আর ভারতের ছিল ৯৭। ২০২৫ সালে ভারতের ফিফা র্যাঙ্কিং ১২৭, জর্ডনের ৬২ এবং উজবেকিস্তান রয়েছে ৫৭ নম্বরে। অর্থাৎ ৭ বছরে ক্রমশ উন্নতি করেছে উজবেকিস্তান এবং জর্ডন। সেই তুলনায় ভারতের লাগাতার অবনমন হয়েছে।
উজবেকিস্তানের জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। জর্ডনের জনসংখ্যা ১.১৪ কোটির একটু বেশি। ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৫০ কোটি। প্রশ্ন এখানেই, যে অল্প জনসংখ্যার দেশ হয়ে জর্ডন এবং উজবেকিস্তান ফুটবল বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে ভারতে কেন পারবে না?
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯২ সালে প্রথম সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ফুটবল ম্যাচ খেলেছিল উজবেকিস্তান। আর ভারত স্বাধীনতারও বহু আগে থেকে ফুটবল খেলছে। ১৯৫১ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সময়কে ভারতীয় ফুটবলের 'স্বর্ণযুগ' বলা হয়। ১৯৫১ সালে ভারত এশিয়ান গেমসে জয়ী হয়। ১৯৫২ সালে, শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত কলম্বো কোয়াড্রাঙ্গুলার কাপও জেতে ভারত। ১৯৫৬ সালে প্রথম এশিয়ার দল হিসেবে ভারত অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ওই অলিম্পিকে চতুর্থ স্থানে শেষ হয়েছিল ভারতের যাত্রা। ১৯৫৮ সালের এশিয়ান গেমসেও চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিল ভারত। ১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসের ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়াকে (বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিং - ২৩) ২-১ গোলে হারিয়েছিল ভারত।
সেই ভারত বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার থেকেও অনেক পিছিয়ে। ভারতের ফুটবলের উন্নতির জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু তা কতটা বাস্তবে পরিণত হচ্ছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ভারত আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন