
অপেক্ষার অবসান। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইন্টার কাশীর (Inter Kashi) নাম ঘোষণা করল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত।
ইন্টার কাশীর বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে নামধারী এফসি-র ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ক্লেডসন দ্য সিলভা খেলেছিলেন। যিনি আগেই চারটি হলুদ কার্ড দেখায় ম্যাচে খেলার অনুপযুক্ত ছিলেন। এই ম্যাচে ইন্টার কাশী ১-০ গোলে পরাজিত হয়। পরে তারা অভিযোগ দায়ের করে ফেডারেশনের কাছে।
ফেডারেশনের আপিল কমিটি সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়। ইন্টার কাশী সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করে। আদালতের রায়ে প্রমাণ হয়, ক্লেডসন দ্য সিলভা নিষিদ্ধ থাকাকালীনই খেলেছেন, যার ফলে ইন্টার কাশীকে ওই ম্যাচের তিন পয়েন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মারিও বারকোকে সিজন শুরুর আগে সাইন করায় ইন্টার কাশী। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে তিনি চোট পাওয়ায় বদলি হিসেবে সই করানো হয় মাতিজা বাবোভিচকে। ফেব্রুয়ারিতে আবার বারকোকে নতুন করে রেজিস্টার করে ক্লাব।
সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা আয়োজিত প্রতিযোগিতা কমিটি এই দ্বিতীয়বার রেজিস্ট্রেশনকে বৈধ মানতে অস্বীকার করে। তাদের যুক্তি ছিল, একই মরসুমে এক ফুটবলারকে দ্বিতীয়বার রেজিস্ট্রেশন নিয়মবিরুদ্ধ। কিন্তু Court of Arbitration for Sport (CAS) জানিয়ে দেয়, আই লিগের ধারা ৬.৫.৭ অনুযায়ী এমন রেজিস্ট্রেশন বৈধ। কারণ এটি একটি “mutual termination”-এর পরে করা হয়েছে। ইন্টার কাশী কোনও নিয়ম ভাঙেনি। ফলে কাশীর পয়েন্ট দাঁড়ায় ৪২।
ইন্টার কাশীর কোচ ছিলেন আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস। মোহনবাগানের হয়ে লিগ শিল্ড আর এটিকের হয়ে আইএসএল জেতেন তিনি। এবারে কাশীকেও চ্যাম্পিয়ন করলেন। ইন্টার কাশীর ঘরের মাঠ ছিল বাংলার নৈহাটী স্টেডিয়াম। এবারে তারা আইএসএলে আদৌ খেলে কিনা সেদিকে নজর থাকবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন