ঘন কুয়াশার কারণে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার টি-২০ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ বাতিল হয়েছে। এরপরই বিসিসিআই-র সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি লখনউয়ের বাতাসের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা।
টি-২০ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ভারত। বুধবার লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে চতুর্থ ম্যাচ ছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও টস করা সম্ভব হয়নি। মাঠে অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা খুবই কম ছিল। ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৭টায়। কিন্তু ৯.৩০ টায় বাতিল করা হয়। বিসিসিআই জানায়, "অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে।"
বুধবার লখনউয়ের বায়ুর গুণগত মান (AQI) ৪০০-র উপরে ছিল। ফলে কুয়াশা এবং ধোঁয়াশার কারণে ম্যাচ শুরু করা সম্ভব হয়নি। ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ড্যকে সর্ব ক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য নিউ চণ্ডীগড়, ধর্মশালা, লখনউ, রাঁচি, রায়পুর, বিশাখাপত্তনম, কটক, আহমেদাবাদ, গুয়াহাটি এবং কলকাতার মতো শহরকে বেছে নেওয়া হয়। শীতের সময় উত্তর ভারতের স্টেডিয়ামগুলিকে ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়ায় বিসিসিআই-র ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। কারণ এই সময় ভোরবেলা বা সন্ধ্যার পর থেকে গোটা উত্তর ভারত কুয়াশায় ছেয়ে যায়।
সমাজমাধ্যমে একজন লেখেন, লখনউয়ে ম্যাচ আয়োজন কে করেছিল? বিসিসিআই-র লজ্জা থাকা উচিত। আরেকজন কুয়াশা ভরা স্টেডিয়ামের ছবি পোস্ট করে লেখেন, বিসিসিআই ভেবেছিল ক্রিকেটাররা এই দৃশ্যমানতায় খেলবে।
আম্পায়ারেরা কেন বার বার টসের সময় পিছিয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার উথাপ্পা বলেন, “আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। রাত বাড়লে কী ভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে? কোনও ভাবেই কুয়াশা কমবে না। বরং আরও বাড়বে।"
ভারতের পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে শুক্রবার। গুজরাটের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হবে। এই ম্যাচই ঠিক করে দেবে সিরিজ ড্র হবে নাকি জিতবে ভারত।
এরপর ভারতের ম্যাচ রয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ভাদোদরা, রাজকোট, ইন্দোর, নাগপুর, রায়পুর, বিশাখাপত্তনম এবং তিরুবনন্তপুরমে ম্যাচ খেলা হবে। একটি ম্যাচ খেলা হবে গুয়াহাটিতে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন