আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে দেখতে না পেয়ে চরম বিশৃঙ্খলা সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে। মাঠের মধ্যেই একের পর এক চেয়ার ভেঙে ছুঁড়তে থাকেন মেসি ভক্তরা। পরিস্থিতি রীতিমতো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় প্রশাসনের।
ডিসেম্বরের শীতে শহরের উত্তাপ বাড়িয়েছিলেন লিও মেসি, লুই সুয়ারেজ এবং রড্রিগো দে পলরা। নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী যুবভারতীতে হাজির হন মেসি। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকেননি তিনি। যা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মাঠের মধ্যেই বোতল, ব্যানার, চেয়ার ছুঁড়তে থাকেন তাঁরা। মাঠের মধ্যে ঢুকে যান হাজার হাজার সমর্থক। গোল পোস্টের জাল ছেঁড়া হয়। গ্যালারিজুড়ে উঠে চোর চোর স্লোগান। মেসির প্রায় সকল ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন ভক্তরা। সূত্রের খবর, স্টেডিয়ামে আসার আগে মাঝপথ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ফিরে যায়।
সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন ক্ষুব্ধ দর্শক। এক দর্শক বলেন, "আমরা মেসিকে দেখতে এসেছিলাম। অরূপ বিশ্বাসকে দেখেছি। প্রথম থেকেই তিনি মেসির সাথে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন।" আরেক জন বলেন, "মমতা ব্যানার্জির যদি ভোটের জন্য টাকা দরকার ছিল আমাদের বলতে পারতেন। আমরা ক্রাউড ফান্ডিং করে তাঁকে টাকা দিতাম। এইভাবে আমাদের ঠকানো হল কেন।"
আরেক মেসি ভক্ত বলেন, "ক্রীড়া উদ্যোগপতি শতদ্রু দত্ত সকলের আবেগের সাথে খেললেন। ম্যানেজমেন্ট খুবই বাজে। একবারও ঠিক করে মেসিকে দেখতে পাইনি। আমাদের টাকা নিয়ে খেলা হল। শতদ্রু দত্ত চোর। মধ্যবিত্ত ছেলেরা অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়েছিল। আর সেই টাকায় নেতা মন্ত্রীরা মেসির সাথে ছবি তুললেন।"
এক রোনাল্ডো ভক্ত বলেন, "আমি মেসি সমর্থক নই। কিন্তু তাঁর মতো কিংবদন্তিকে দেখতে টাকা খরচ করে মাঠে এসেছিলাম। কিচ্ছু দেখতে পাইনি। শতদ্রু দত্ত প্রতারক। আমাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক। জায়ান্ট স্ক্রীনেও মেসিকে ঠিক করে দেখা যায়নি। মেসির চারপাশে অনেকেই ঘিরে রেখেছিলেন।"
মাঠ থেকে বেরিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক দর্শক বলেন, শতদ্রু দত্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম মেসি কিছুক্ষণ থাকবেন। পুরো মাঠ ঘুরবেন। ২০২৫ সালের সবথেকে বড় স্ক্যাম করেছেন শতদ্রু দত্ত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন