
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ফর্মে শ্রেয়াস আইয়ার। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। পাশাপাশি ১০টি ছক্কাও মারলেন ২০২৫ আইপিএল-র দ্বিতীয় ধনীতম ক্রিকেটার। এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে বিসিসিআইকেও বুঝিয়ে দিলেন যে ভারতীয় দলে কামব্যাক করার জন্য তিনি প্রস্তুত।
শনিবার বিজয় হাজারে ট্রফিতে কর্ণাটকের মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই। কর্ণাটক টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে ৭ রানে ১ উইকেট হারায় মুম্বই। এরপর আয়ুশ মাত্রে এবং হার্দিক তামোরের মধ্যে ১৪১ রানের পার্টনারশিপ হয়। ৭৮ রানে আউট হন আয়ুশ। ৮৪ রানে আউট হন হার্দিক তামোরে। শ্রেয়াস আইয়ার ৫৫ বলে ১১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ৫টি বাউন্ডারি এবং ১০টি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। পাশাপাশি ৩৬ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন শিবম দুবে।
দুরন্ত পারফর্ম করলেও মুম্বই জিততে পারেনি। ৫০ ওভারে মুম্বই তুলেছিল ৩৮২ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.২ ওভারে ৩৮৩ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় কর্ণাটক।
দীর্ঘদিন ছন্দে না থাকার কারণে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন শ্রেয়াস। বিজয় হাজারে ট্রফিতে সেই হারানো ছন্দ ফিরে পেলেন তিনি। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। তবে ভারত খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য শ্রেয়াসকে লাগাতার ভালো পারফর্ম করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে শনিবার দিল্লির মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। সেই ম্যাচে দিল্লিকে ৬ উইকেটে হারিয়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদাররা। রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামি। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান তোলে দিল্লি। বাংলার হয়ে দূরন্ত বোলিং করেন মুকেশ কুমার। ১০ ওভার বল করে ৬৬ রান দিয়ে তিনি ৪ উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪১.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান তোলে বাংলা। ১৩০ বলে ১৭০ রানের অনবদ্য অপরাজিত ইনিংস খেলেন অভিষেক পোড়েল। তাঁর ইনিংসে ৭টি ছয় এবং ১৮টি চার রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন