
ধোনির মতোই টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় বিসিসিআই। যার জেরেই ইংল্যান্ড সফরের আগে আচমকা নিজের অবসরের ঘোষণা করেন তিনি। তিনি রোহিত শর্মা। স্কাই স্পোর্টসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী এমনটাই জানা যাচ্ছে।
স্কাই স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোহিত মূলত ইংল্যান্ড সফরের পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেই অবসর নিতে চেয়েছিলেন, ঠিক যেমনটা ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে রোহিতের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচকরা সিরিজ চলাকালীন নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই রোহিতকে দলে রাখার প্রস্তাব দিলেও অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দিতে চাননি। ফলস্বরূপ, রোহিত অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর অবসরের কয়েক দিনের মধ্যেই বিরাট কোহলিও টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান।
বিসিসিআই সূত্রে জানা গেছে, রোহিতের উত্তরসূরি খোঁজার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। শুবমন গিল এবং ঋষভ পন্থের সঙ্গে ‘অনানুষ্ঠানিক আলোচনা’ চালিয়েছেন নির্বাচকরা।
২৩ মে ইংল্যান্ড সফরের স্কোয়াড ঘোষণা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। মিডিয়া রিপোর্টে গিল ও বুমরাহর নাম অধিনায়ক হিসেবে উঠে এলেও এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
বিসিসিআইয়ের এক নির্বাচক জানান, গিলের অধিনায়কত্ব নিয়ে কিছুটা দ্বিধা রয়েছে কারণ তাঁর দলে জায়গা এখনো নিশ্চিত নয়। তাই তিনি সহ-অধিনায়ক হিসেবে বেশি উপযুক্ত বলে মত প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের মতে, গিল, পন্থ ও শ্রেয়স আইয়ারের মধ্যে নেতৃত্বের সম্ভাবনা প্রচুর থাকলেও, রোহিত-ধোনি-বিরাটদের স্তরে পৌঁছাতে আরও সময় লাগবে।
গাভাসকর বলেন, “গিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং মাঠে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সরাসরি আম্পায়ারের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। পন্থের মধ্যে রয়েছে স্বাভাবিক নেতৃত্বগুণ, আর আইয়ারও চমৎকারভাবে দল পরিচালনা করছেন। তিনজনের মধ্যে রয়েছে তিন প্রাক্তন অধিনায়কের সংমিশ্রণ।”
বর্তমানে গিল গুজরাট টাইটান্সের, পন্থ এলএসজির এবং আইয়ার পাঞ্জাব কিংসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই তিনজনের মধ্যে থেকেই ভারতের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক নির্ধারিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন