
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ, আর্সেনাল, বায়ার্ন মিউনিখ এবং ইন্টার মিলান। তবে আর্সেনালকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা কার্যত চ্যালেঞ্জ রিয়ালের কাছে। কঠিন হলেও অসম্ভব নয় বলেই মনে করছেন অনেকে।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে অন্যান্য ক্লাবের থেকে অনেক এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারতে হয় এমবাপ্পেদের। বুধবার মধ্যরাতে ইংলিশ ক্লাবটির বিপক্ষে খেলবে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। সেমিফাইনালে উঠতে গেলে ৪-০ ব্যবধানে আর্সেনালকে পরাস্ত করতে হবে রিয়াল মাদ্রিদকে।
পরিসংখ্যান বলছে প্রথম লেগে পিছিয়ে পড়েও একাধিকবার দ্বিতীয় লেগে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রিয়াল। ২০১৫-২৬ মরসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে উলফসবার্গের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল রিয়াল। ফিরতি লেগে ৩-০ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল।
এছাড়া ১৯৮৬-৮৭ মরসুমে ইউরোপিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রেড স্টার বেলগ্রেডের কাছে ৪-২ গোলে হারতে হয়েছিল রিয়ালকে। ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতেছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট।
১৯৮৫-৮৬ মরসুমে উয়েফা কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়ালকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিল ইন্টার। দ্বিতীয় লেগে ইন্টারকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৮৪-৪৫ মরসুমের উয়েফা কাপের সেমিতে ইন্টারনাজিওনেলের কাছে ২-০ গোলে হারে রিয়াল মাদ্রিদ। ফিরতি লেগে ৩-০ গোলে জেতে মাদ্রিদ। ফলে জয়ের জন্য এখনও আশাবাদী ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা।
অন্যদিকে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে নামবে ইন্টার মিলান। প্রথম লেগে ২-১ গোলে এগিয়ে রয়েছে ইন্টার। শেষ চারে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ২-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিততে হবে বায়ার্নকে।
উল্লেখ্য, কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৩-১ গোলে হারিয়েও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ৫-৩ ব্যবধানে সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করেছেন ইয়ামালরা। অন্যদিকে দুই লেগে মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে জয়ী হয়ে শেষ চারে উঠেছে পিএসজি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন