
গুরুগ্রামে নিজের বাবার হাতে খুন হলেন রাজ্যস্তরের টেনিস প্লেয়ার রাধিকা যাদব (Radhika Yadav)। বছর ২৫-র মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বাবা দীপক যাদব। অভিযুক্তের দাবি, মেয়েকে নিয়ে গ্রামের লোকের কটূক্তির কারণেই তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০টা নাগাদ রাধিকা যাদবকে গুলি করেন তাঁর বাবা দীপক যাদব। সেইসময় রান্নাঘরে খাবার বানাচ্ছিলেন রাধিকা। পিছন থেকে তিনবার তাঁকে গুলি করা হয়। রাধিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীপকের ভাই কুলদীপ, যিনি একই বাড়ির নিচতলায় থাকেন, গুলির শব্দ শুনে উপরে ছুটে আসেন এবং রাধিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তিনিই প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সেক্টর ৫৬ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই দীপককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরার নিহত টেনিস প্লেয়ারের বাবা জানান, “যখন আমি দুধ আনতে ওয়াজিরাবাদ গ্রামে যেতাম, তখন লোকেরা আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করত। তারা বলত আমি আমার মেয়ের টাকাতেই বেঁচে আছি। এটা আমাকে খুবই কষ্ট দিত। এমনকি কিছু লোক আমার মেয়ের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলত। আমি মেয়েকে তার টেনিস অ্যাকাডেমি বন্ধ করে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু সে রাজি হয়নি”।
তিনি আরও বলেন, "দিনের পর দিন কটূক্তি সহ্য করতে না পেরে আমি এই কাজ করি। আমি আমার লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবারটি বের করে রাধিকাকে পিছন থেকে তিনবার গুলি করি। তার কোমরে গুলি লেগেছিল। আমি আমার মেয়েকে হত্যা করেছি”।
দীপক যাদব একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। প্রতিবেশীরা জানান, মেয়েকে খুব উৎসাহ দিতেন দীপক। তবে গ্রামের অনেকেই দীপককে কটূক্তি করতেন। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটাবেন তিনি তা কেউ ভাবতেও পারেননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন