

সোমবার ব্যারাকপুরে মোহনবাগান বনাম রেলওয়ে এফসি ম্যাচে ৩৫ মিনিটে গুরুতর চোট পান রেলওয়ের তারক হেমব্রম। দীর্ঘ সময় মাঠেই ছিলেন তিনি। তাঁর পায়ে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ছাতা দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে। পুরো ঘটনার জন্য ক্লাবের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলার তারকা ফুটবলার প্রবীর দাস।
নিজের ফেসবুক পেজে প্রবীর দাস বলেন, “যখন টিমের জন্য প্লেয়ার কেনো তখন আলু-পটলের মতো কেনো। আর সেই পয়সা তোমরা কর্মকর্তারা নিজেদের পকেটে রাখো। সেটা দিয়ে মেডিক্যাল সেট আপ করো। আর কত খাবে পয়সা? একটা ডাক্তার রাখো। আর যদি বলো পয়সা নেই তাহলে টিম তুলে নাও”।
তিনি আরও বলেন, “তোমাদের জন্যে বাংলার ফুটবল আজ নষ্ট হচ্ছে। আজ ছেলেটা কত কষ্ট পেয়েছে। ৪০ মিনিট মাঠে ছিল। বুঝতে পারো একটা পা ভেঙে গেলে কত যন্ত্রণা হয়! একটা ছেলে দলের জন্য ১০০% দিচ্ছে। আমরা প্লেয়াররা আশা করি আমাদের যখন ইনজুরি হবে তখন বেসিক সেটআপ যেন থাকে। দরকার পড়লে বাঁশ কেটে ছোট ছোট করে ব্যাগের মধ্যে রাখো। ফুটবল প্লেয়ারদের ইনজুরি হয় এটা সবাই জানে। হাত বা পা ভেঙে গেলে সেটাকে সোজা করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। বৃষ্টি হয়েছিল বলে মাঠে ছাতা পাওয়া গেছে। বৃষ্টি না হলে ভাবো তো কি হতো?''
যদিও আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, 'ওই সময় পায়ে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কিছু দ্রুত দরকার ছিল। কিন্তু পাওয়া যায়নি। তাই হাতের কাছে ছাতা পেতে তা দিয়েই ব্যান্ডেজ বাঁধা হয়। যাতে ওই ফুটবলার কিছুটা রিলিফ পায়। যে টিমের খেলাই হোক না কেন, টিমের সঙ্গে চিকিৎসক, ফিজিও থাকাটা বাধ্যতামূলক। রেলের সঙ্গে মেডিকেল টিম ছিল কিনা, খোঁজ নেব। তবে রেলের ওই ফুটবলার চোট পেতেই মোহনবাগানের চিকিৎসকরা এগিয়ে আসেন।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন