'অস্কার বারবার অপমান করেছেন' - ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক কোচের পদ ছেড়ে বিস্ফোরক সন্দীপ নন্দী

People's Reporter: সন্দীপ বলেন, অস্কার বারবার আমাকে অপমান করেছেন। আমি শিল্ড ফাইনালে অস্কারকে আমার একটা সাজেশন দিয়েছিলাম দেবজিৎকে নামানোর জন্য।
সন্দীপ নন্দী (বামদিকে) এবং অস্কার ব্রুজোন (ডানদিকে)
সন্দীপ নন্দী (বামদিকে) এবং অস্কার ব্রুজোন (ডানদিকে)ছবি - সংগৃহীত
Published on

আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ডার্বিতে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। এবারে টার্গেট সুপার কাপ। আর সুপার কাপ শুরু হওয়ার পদত্যাগ করলেন দলের বাঙালি গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দী। জানা যাচ্ছে প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজোনের সাথে ঝামেলার কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

ফাইনালে ট্রাইবেকারের সময় প্রভুসুখন গিলের পরিবর্তে অভিজ্ঞ দেবজিৎ মজুমদারকে নামান গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দী। একটাও পেনাল্টি বাঁচাতে পারেননি দেবজিৎ। ম্যাচের পরে কোচ অস্কার ব্রুজোন ভৎসনা করেন সন্দীপকে। তিনি নাকি সন্দীপকে গোলকিপার কোচের পদে অযোগ্য বলেও দাবি করেন।

ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে অস্কার বলেন,আমার কোচিং স্টাফের মতামত নেওয়া ভুল হয়েছিল। দেবজিতের জায়গায় গিলকেই রাখা উচিত ছিল। সব দোষ আমার।'

এরপরই সন্দীপ নন্দী পদত্যাগ করেন। সন্দীপ নন্দী ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ান জয়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের গোলে দীর্ঘদিন সার্ভিস দেন তিনি। শোনা যাচ্ছে অস্কার নিজের পছন্দর গোলকিপার কোচকেই আনবেন।

সন্দীপ বলেন, 'অস্কার বারবার আমাকে অপমান করেছেন। আমি শিল্ড ফাইনালে অস্কারকে আমার একটা সাজেশন দিয়েছিলাম দেবজিৎকে নামানোর জন্য। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কোচের ছিল। ফুটবলারদের সামনে আমাকে অপমানিত করেন। বারবার বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে আমি নাকি দেবজিৎকে নামানোর কথা বলি। ক্লাব যেহেতু আমাকে রিক্রুট করেছিল, প্রথম দিন থেকেই বাঁকা নজরে দেখা হত আমাকে। প্রথমদিন থেকেই আমি ইস্টবেঙ্গলে সুস্থ পরিবেশ পাইনি'।

সন্দীপ নন্দী (বামদিকে) এবং অস্কার ব্রুজোন (ডানদিকে)
ইতিহাস গড়লো ভারত, ২০ বছর পর অনূর্ধ্ব-১৭ এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ব্লু-টাইগ্রেসরা
সন্দীপ নন্দী (বামদিকে) এবং অস্কার ব্রুজোন (ডানদিকে)
আফগানিস্তানের নাম প্রত্যাহারের পরেও ত্রিদেশীয় সিরিজ করতে মরিয়া পাকিস্তান! বিকল্পের সন্ধানে পাক বোর্ড

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in