

ভারতীয় ক্রিকেটে দ্রাবিড় জমানার পতন হয়ে শুরু হয়েছে গম্ভীর জমানা। গম্ভীর হলেন পঞ্চম ভারতীয় কোচ যিনি ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তবে বিশ্বকাপ জয়ীরা কোচিং জীবনে কতটা সফল একনজরে দেখা যাক।
ভারতীয় ক্রিকেট দল দু'বার ওয়ান ডে বিশ্বকাপ এবং দু'বার টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যদের মধ্যে কপিল দেব, রবি শাস্ত্রী, মদন লাল এবং সন্দীপ পাতিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং করিয়েছিলেন। কিন্তু কোচ হিসেবে তাঁরা কেউ বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। ২০১১ বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন গৌতম গম্ভীর। তিনি বর্তমানে প্রধান কোচ হয়েছেন।
সন্দীপ পাতিল -
১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন সন্দীপ পাতিল। ক্রিকেটার হিসেবে ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি ৮৪-র এশিয়া কাপও জিতেছিলেন তিনি। তবে কোচিং জীবনে তেমন কোনো সাফল্য নেই। ১৯৯৯ সালে তিনি কোচ হয়েছিলেন।
মদন লাল -
মদন লালও ৮৩-র বিশ্বকাপ দলের স্কোয়াডে ছিলেন। তিনি ১৯৯৬-৯৭ সাল পর্যন্ত কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
কপিল দেব -
বিদেশের মাটি থেকে ভারতকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক কপিল দেব। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ ভারতবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ ছিলেন পি আর মান সিং। কপিল দেব কোচ হয়েছিলেন ১৯৯৯-২০০০ সাল পর্যন্ত।
রবি শাস্ত্রী -
রবিশঙ্কর জয়দ্রিত শাস্ত্রীও ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ২০০৭ সালে গ্রেগ চ্যাপেলের পর কিছু সময়ের জন্য ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হয়েছিলেন শাস্ত্রী। তারপর ২০১৭-২১ সাল পর্যন্ত ভারতের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন শাস্ত্রী। তাঁর আমলে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, টি-২০ বিশ্বকাপ খেললেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত। ২০১৯-২১ আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে রানার্স হয় ভারত।
গৌতম গম্ভীর -
২০১১ সালে দ্বিতীয়বার ভারত বিশ্বকাপ জেতে। সেই দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন গম্ভীর। এখন দেখার কোচ হিসেবে তিনি ভারতীয় দলকে কতটা সাফল্য এনে দিতে পারে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন