

একাধিক কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আজ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটাররা বিশ্বসেরা হয়েছেন। একটা সময়ে স্টেডিয়ামে দর্শক থাকত না। কিন্তু ২০২৫ বিশ্বকাপ ফাইনালে দর্শক ভর্তি স্টেডিয়ামে খেতাব জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। একটা সময় ম্যাচ পিছু ১০০০ টাকা দেওয়া হত। সেখান থেকে বর্তমানে পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের সমবেতন চালু রয়েছে।
২০২৫ বিশ্বকাপ জিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পুরস্কার মূল্য ৪.৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৯.৭৮ কোটি টাকা) জিতেছে ভারতের মেয়েরা। এছাড়াও ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (BCCI) দলকে আরও ৫১ কোটি পুরস্কার প্রদান করেছে।
তবে এই সাফল্যের পথ সহজ ছিল না। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মিতালী রাজ এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের প্রাথমিক দিনের কঠোর বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
মিতালী রাজ বলেন, “আমাদের কোনো বার্ষিক চুক্তি ছিল না। কোনো ম্যাচ ফি ছিল না। ২০০৫ সালের উইমেন্স ওয়ার্ল্ড কাপের রানার-আপ হলে আমরা প্রতি ম্যাচে মাত্র ১,০০০ পেতাম। সেই সময় খেলায় বিশেষ কোনও অর্থ ছিল না।”
১৯৭৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট পরিচালনা করেছিল Women’s Cricket Association of India (WCAI)। ২০০৬ সালে বিসিসিআই-র সাথে যুক্ত হয়।
মিতালী জানান, “BCCI-এর অধীনে আসার পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। প্রথমে আমাদের সিরিজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক দেওয়া হতো, পরে প্রতি ম্যাচের ভিত্তিতে এবং এখন পুরুষ দলের সঙ্গে সমান পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণায় তৎকালীন BCCI সচিব জয় শাহ জানান, "পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের সমান ম্যাচ ফি প্রদান করা হবে। প্রতি টেস্টে ১৫ লাখ, প্রতি ওডিআইতে ৬ লাখ এবং প্রতি টি২০-তে ৩ লাখ। যা ভারতীয় ক্রীড়াখেত্রে লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন