
পুরুষ টেনিস এখন কার্যত দুই তারকার দ্বৈরথে সীমাবদ্ধ। জানিক সিনার ও কার্লোস আলকারাজ যে অন্য সবার থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে, তা আবারও প্রমাণিত হচ্ছে। রবিবার তাঁরা ইউএস ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি হবেন। যেখানে শুধু ট্রফি নয়, নির্ধারিত হবে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান র্যাঙ্কিং-ও।
এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইতিমধ্যেই রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে। আলকারাজ এবং সিনার একই মরসুমে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছেন। ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনের পর এবার নিউ ইয়র্কে তৃতীয় ও চূড়ান্ত লড়াই। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ২০১১-১২ সালে, যখন টানা তিনটি ফাইনালে খেলেছিলেন নোভাক জকোভিচ ও রাফায়েল নাদাল।
সেমিফাইনালে ফিলিক্স অগার-আলিয়াসিমেকে হারিয়ে সিনার ইতিহাস গড়েছেন। এটি ছিল তাঁর কেরিয়ারে ৩০০তম জয় এবং গ্র্যান্ড স্লাম পর্যায়ে ৮৭তম জয়। মাত্র ২৪ বছর ২২ দিন বয়সে সিনার চারটি গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে পৌঁছে গেলেন একই বছরে। এই কীর্তি এর আগে রড লেভার, রজার ফেডেরার ও জকোভিচের ছিল। তবে এত কম বয়সে নয়।
সিনারের কাছে এবার সুযোগ রয়েছে ফেডেরারের রেকর্ড স্পর্শ করার। ২০০৮-এর পর আর কেউ টানা ইউএস ওপেন জিততে পারেননি। এমনকি ফেডেরার ছাড়া আর কেউ কখনো টানা দুই বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন–ইউএস ওপেন হার্ড কোর্ট ডাবল জিততে পারেননি। সিনারের সামনে রয়েছে সেই দ্বৈত মাইলফলক স্পর্শ করার সম্ভাবনা।
আলকারাজের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ। জিতলে তিনি পাবেন তাঁর ষষ্ঠ গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা এবং ফিরে পাবেন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান র্যাঙ্কিং। ২০২২ ইউএস ওপেন জিতেই ইতিহাসের কনিষ্ঠতম নাম্বার ওয়ান হয়েছিলেন তিনি।
সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, পুরুষ টেনিস নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। আর সেই যুগের নাম সিনার বনাম আলকারাজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন