

মাত্র ২৯ বছর বয়সেই মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমপিসিএ) সভাপতি নির্বাচিত হলেন মহনারায়মন সিন্ধিয়া, যিনি বিজেপি সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ছেলে। মহনারায়মন সর্বসম্মতভাবে এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৫৭ সালে এমপিসিএ গঠনের পর তিনিই সবচেয়ে কনিষ্ঠ সভাপতি।
তবে এই নির্বাচন ঘিরে আনন্দের চেয়ে বিতর্কই বেশি হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাঁকে “নেপো বেবি” আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, যোগ্যতার চেয়ে পারিবারিক উত্তরাধিকারেই তিনি এই পদে এসেছেন।
গোয়ালিয়রের রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী মহনারায়মন সিন্ধিয়া তাঁদের পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম যিনি এমপিসিএ সভাপতির আসনে বসলেন। এর আগে তাঁর দাদু মাধবরাও সিন্ধিয়া ও বাবা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এই দায়িত্ব সামলেছেন।
১ সেপ্টেম্বর সর্বসম্মতভাবে এমপিসিএ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর মহনারায়মন এক দীর্ঘ বিবৃতিতে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, “আজ আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এমপিসিএ সভাপতির পদে নির্বাচিত হওয়া যেমন গর্বের, তেমনই বড় দায়িত্বও।” তিনি জানান, মধ্যপ্রদেশে ক্রিকেট অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও সুযোগ বৃদ্ধিই হবে তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
কিন্তু তাঁর এই প্রতিশ্রুতিতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। এক এক্স ব্যবহারকারী লেখেন, “মধ্যবিত্ত বাচ্চারা এসএসসি-ইউপিএসসির জন্য বছর বছর পড়াশোনা করেন। অথচ কারও কারও কাছে শুধু পদবীই যথেষ্ট পদ পাওয়ার জন্য।” আরেকজনের বক্তব্য, “মহনারায়মন সিন্ধিয়া সভাপতি হওয়ার মুহূর্তেই মেধার মৃত্যু ঘটল। শূন্য ক্রিকেট, শূন্য পরিশ্রম, শুধুই বাবার নাম যথেষ্ট।”
১৯৯৫ সালে জন্ম নেওয়া মহনারায়মন দুন স্কুলে পড়াশোনা করার পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সে স্বল্পমেয়াদি কোর্স করার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকনমিক্স ও পলিটিক্যাল সায়েন্সে স্নাতক হন।
সমালোচকদের মতে, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা যতই উজ্জ্বল হোক না কেন, ক্রিকেট প্রশাসনে এই দ্রুত উত্থান মূলত পরিবারিক প্রভাবের ফল। তাঁদের মতে, ভারতীয় খেলাধুলার প্রশাসনে এখনো রাজনৈতিক ও সামাজিক অভিজাতদের দাপটই মেধার চেয়ে বড় হয়ে রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন