
শনিবার ১২৫তম আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মেগা ডার্বি। তবে এই ডার্বিতে মোহনবাগানের জন্য কিছুটা চাপের। ইউনাইটেড এফসির ম্যাচে বাগান সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। অন্যদিকে ভাল ছন্দে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এই দুইয়ে মিলিয়ে একপ্রকার চাপে রয়েছে মোহনবাগান।
সেদিন সমর্থকদের আন্দোলনের পর পুলিশি নিরাপত্তায় টিম বাসে ওঠেন বাগান ফুটবলাররা। তাঁদের আন্দোলন এএফসি কাপে ইরানে খেলতে না যাওয়া নিয়ে। তবে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা ফাইনালে পাশে চাইছেন বাগান সমর্থকদের।
মোলিনা জানান, 'সমর্থকদের বলতে চাই, পরিস্থিতি ভুলে অন্তত ৯০ মিনিট দলকে সমর্থন করুন। তারপর আবার নিজেদের অবস্থানে বহাল থাকুন। ফ্যানরা যা করছেন, সেটা ঠিক না। জানি তাঁরা খুশি নন। আমি সেটা বুঝি। আমরা এএফসি খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্লেয়াররা যেতে চায়নি। আমার কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জিততে হবে। তাহলে ফ্যানরা খুশি হবে। আমরা ট্রফি জিততে চাই"।
তিনি আরও বলেন, "আমি চাই সমর্থকরা মাঠে এসে আমাদের চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করুক। সবসময় ফ্যানরা গুরুত্বপূর্ণ। ডার্বিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত ইস্টবেঙ্গল ফ্যানরা ওদের সমর্থন করতে গ্যালারি ভরাবে। আমরা এবার সাপোর্টারদের ১০০ শতাংশ সমর্থন পাইনি। এটা আমাদের পরিস্থিতি আরও কঠিন করছে। ফ্যানদের মাঠে আসতে অনুরোধ করব। আমাদের কলকাতা ডার্বি জিততে সাহায্য করুন।"
মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বোস বলেন, 'প্লেয়ার হিসেবে সবসময় চাই মাঠে এবং মাঠের বাইরে ফ্যানরা সাপোর্ট করুক। আমরা ফুটবল খেলি সমর্থকদের জন্য। আমাদের পাশে থাকলে বাড়তি সুবিধা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ড্রেসিংরুমের অবস্থা যথেষ্ট ভালো। শুধুমাত্র ফুটবলে ফোকাস করা দরকার। সমর্থকরা সাপোর্ট করে যাক। আশা করছি মরসুমের শুরুতে সাপোর্টারদের ট্রফি দিতে পারব। আমরা যে সাফল্য পেয়েছি, তাতে শুধু প্লেয়াররা নয়, সমর্থকদেরও সমান অবদান ছিল। তাঁরা শুধু সাপোর্টার নয়, যোদ্ধা। আমরা একসঙ্গে ট্রফি জিতেছি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একসঙ্গে সেলিব্রেট করেছি। সব পরিস্থিতিতে ফ্যানদের পাশে পেয়েছি। এবার মরসুম শুরুতে ট্রফি জিতে নতুন সূচনা করতে চাই।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন