

মহামেডান আছে যেন মহামেডানেই। একদিকে ইনভেস্টর সমস্যা অন্যদিকে ক্লাব সমর্থকদের বিক্ষোভ। রীতিমতো বিপাকে মহামেডান। ইনভেস্টর শার্চী, ব্যাঙ্করহিলের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের ঝামেলা, তার জেরে বেতন পাচ্ছেন না ফুটবলাররা। অনুশীলন বন্ধ রেখেছিল তাঁরা। মহামেডান সচিব ইস্তেয়াক রাজুর আশ্বাসের পরে অনুশীলনে ফিরলেও সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে ক্লাব কর্তারা।
ক্লাবের বাইরে বেশ কয়েকজন সমর্থক পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান শুক্রবার। তাঁদের দাবি, কর্মকর্তাদের পদত্যাগ। মহম্মদ কামারুদ্দিন থেকে সচিব ইস্তেয়াক রাজু, ক্লাব সভাপতি আমিরুদ্দিন ববির বিরুদ্ধে সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা এটাও বলেন, সমর্থকরাই ক্লাব চালাবেন। তাঁদের স্লোগান ছিল - 'দফা এক দাবি এক, মহামেডান কর্তাদের পদত্যাগ।'
এক সমর্থক বলেন, '৪ বছর ধরে শেয়ার ট্রান্সফার করতে পারলো না। আজ করছি কাল করছি বলে আই ওয়াশ করা হচ্ছে। এই ক্লাব আমাদের মায়ের সমান। ভালো ইনভেস্টর দরকার। প্রয়োজনে আমরা যাব ক্রীড়াপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি সবার মুখ্যমন্ত্রী। ক্লাব নিয়ে ছেলেখেলা মানব না।'
যদিও কর্মকর্তারা ওই সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেননি। মহামেডান সচিব ইস্তেয়াক রাজু বললেন, 'ইনভেস্টরদের সঙ্গে বসে সমস্যা মেটানোর জন্য আমরা সবসময় তৈরি। কিন্তু বুঝতে হবে যে আমরা চুক্তির বাইরে যেতে পারব না। যেকোনও জিনিস করতে সময় লাগে। শেয়ার ট্রান্সফারের বিষয় আছে। আমাদের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রথম দিন থেকেই শেয়ার ট্রান্সফার করতে তৈরি। আমরা কর্পোরেট ক্লাব নয়, সমর্থক ভিত্তিক ক্লাব। এইসব করতে একটু সময় লাগে। দুই পক্ষের আইনজীবী বসে মিটিয়ে নিয়েছি। অনেক ফুটবলার বলছে তিন মাসের বেতন বাকি। আমাদের হিসেবে এক মাসের বেতন বাকি। এই বিষয়টা আলোচনায় বসে মেটাতে হবে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন