
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও প্রায় ১৪ মাস বাকি। তবুও ফুটবল বিশ্বের অন্যতম বড় প্রশ্ন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে দেখা যাবে কিনা? আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক এখনও নিশ্চিত করেননি তাঁর শেষ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে।
৩৭ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন তারকা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "এই বছরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বছরের ওপরেই নির্ভর করছে ২০২৬ বিশ্বকাপে আমি খেলব কিনা। আমি যদি বলি বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না তাহলে তা মিথ্যা হবে"।
মেসির এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। কারণ এর আগে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপকে মেসির ‘শেষ বিশ্বকাপ’ ধরে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু দারুণ ফর্মে থাকা এই ফরোয়ার্ড এখনও ফুটবলকে বিদায় জানাননি। বরং ক্লাব ফুটবলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনি এখনও প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত।
লা মাসিয়ার বার্সেলোনা অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসে ২০০৪ সালে ক্লাবের হয়ে অভিষেক করেন মেসি। এরপর এক যুগেরও বেশি সময় বার্সার হয়ে খেলেছেন, জিতেছেন অসংখ্য ট্রফি। ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ১০টি লা লিগা শিরোপা, ৭টি কোপা দেল রে এবং ব্যক্তিগতভাবে ৮টি ব্যালন ডি’অর। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা এবং ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জেতার মধ্য দিয়ে তাঁর ট্রফি জয়ের তালিকা পূর্ণতা পায়।
২০২১ সালে পিএসজি-তে যোগ দেন মেসি। দুই বছর পর ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। চোটজনিত কিছু সমস্যা থাকলেও মেসি ইন্টার মিয়ামির হয়ে বর্তমানে ভালো ফর্মে আছেন। মেজর লীগ সকারে (MLS) এই মরসুমে ইতোমধ্যে পাঁচ ম্যাচে তিন গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন। এছাড়া কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে করেছেন পাঁচটি গোল। লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে জোড়া গোল করেন এই তারকা।
মেসি ক্লাব ও দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১০৯৩টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলেছেন ১৯১টি ম্যাচ, করেছেন ১১২টি গোল। তিনিই আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপে মেসি থাকবেন কিনা, তা এখনই বলা কঠিন। ওই সময়ে তাঁর বয়স হবে ৩৮ বছর। তবে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো যদি পরের বিশ্বকাপে খেলেন তাহলে মেসির পক্ষেও খেলা সম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন