
পুরুষ দল লাগাতার ব্যর্থ। সেখান থেকে খানিকটা অক্সিজেন পেল ইস্টবেঙ্গল। মহিলা আইলিগ আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আগেই। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি মিলল শুক্রবার। শেষ ম্যাচে গোকুলাম কেরালা এফসিকে ৩-০ গোলে পরাস্ত করল লাল-হলুদের মহিলা ব্রিগেড।
যেখানে ইস্টবেঙ্গল পুরুষ দলের ফুটবলের হতশ্রী পারফরমেন্স সেখান থেকে মহিলাদের উঠে আসা ধুমকেতুর মত। ঘরের মাঠে গোকুলাম কেরালা এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়েই ট্রফি পেলো ক্লাব। উড়লো লাল হলুদ বেলুন, জ্বলল মশাল। 'মাছের রাজা ইলিশ' থেকে অরিজিৎ সিং-য়ের শতবর্ষ-র গান সবই বাজলো।
ইস্টবেঙ্গল সহ সভাপতি কল্যাণ মজুমদার বলেন, বাঁ হাত সচল হয়েছে এবারে ডান হাত হবে। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, ওরা আমাদের লক্ষ্মী। আমি কথা দিচ্ছি ওদের লক্ষ্মী লাভে আমাদের পুরুষ দল পরের বার চ্যাম্পিয়নশিপ দৌড়ে থাকবে।'
চ্যাম্পিয়ন দলকে ১২ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হলো ক্লাবের তরফ থেকে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর কথায়, "এই জয়ে রাজ্য সরকার আর মুখ্যমন্ত্রীর বড়ো ভূমিকা আছে। কন্যাশ্রী কাপের মাধ্যেমে ক্লাবকে তুলে ধরেছেন। আর এই জয় বাংলার জয়। ফুটবলে বাংলা যে ভারত সেরা, তা আবার প্রমাণ হল। বাংলা এবার সন্তোষ ট্রফি জিতেছে। মোহনবাগান আইএসএল লিগ শিল্ড এবং কাপ জিতেছে। ডায়মন্ড হারবার এফসি আই লিগ টু চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলও আই লিগ জিতল। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল ফুটবলের কোনও কোনও ক্ষেত্রে গৈরিকীকরণ দেখা যাচ্ছে। আইএসএল কাপের ফাইনালে রাজ্যে ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আজও সরকারি ভাবে ফেডারেশন আমাকে আমন্ত্রণ জানায়নি। খেলার মাঠে রাজনীতি ঠিক নয়।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন