
আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যুর ৪ বছর পরে ফের মূল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরব হলেন মারাদোনা-কন্যা জিয়ানিনা। তাঁর অভিযোগ, মারাদোনার চিকিৎসায় মূল চিকিৎসক লিয়োপল্ডো লিউক ইচ্ছাকৃতভাবে গাফিলতি করেছিলেন। যা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।
মারাদোনার চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। মাথার খুলি এবং মস্তিস্কের মাঝে অবস্থিত হেমাটোমায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল মারাদোনার। ২০২০-র ৪ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তারপর তাঁকে বাড়িতে পাঠানো হয়। মারাদোনার কন্যার অভিযোগ, মারাদোনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়নি।
আদালতে জিয়ানিনা বলেন, "দিন দিন বাবার শরীর খারাপ হচ্ছিল। সেটা আমরা বুঝতে পারছিলাম। তিনি হাঁটতেও পারছিলেন না। লিউককে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি বলেছিলেন শারীরিক অবস্থার এমন ওঠানামা হয়েই থাকে।"
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মৃত্যু হয় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনা। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারাদোনার মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মেনে নিতে পারেননি তাঁর দুই কন্যা। মেডিক্যাল স্টাফের গাফিলতির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছিলেন তাঁরা। ২০২২ সালে আদালতের রায়ে মারাদোনার মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে যায় আট জন মেডিক্যাল স্টাফ।
মারাদোনার মৃত্যুর পরেই তাঁর দুই কন্যা এবং আত্মীয় পরিজনেরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। স্নায়ু শল্যচিকিৎসক লিয়োপল্ডো লিউক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্টিনো কোসাশভ এবং মনোবিজ্ঞানী কার্লোস ডিয়াজ, মেডিক্যাল কো অর্ডিনেটর ন্যান্সি ফোরলিনি এবং দুই নার্স সহ সাত জনের ওপর অভিযোগ ওঠে। সকলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন