

অনিশ্চয়তায় আইএসএল-র ভবিষ্যৎ। আইএসএল আয়োজন করার জন্য ৫ নভেম্বর বিড পেপার জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু কোনও সংস্থাই টেন্ডারের জন্য বিড করেনি। আগামীদিনে দেশের ১ নম্বর ফুটবল টুর্নামেন্ট হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জারি করা প্রস্তাবের অনুরোধ (আরএফপি) এর লক্ষ্য ছিল সম্প্রচার, স্পনসরশিপ, ডিজিটাল এবং মার্চেন্ডাইজিং সহ সমস্ত আইএসএল-সম্পর্কিত অধিকার পরিচালনার জন্য একটি নতুন বাণিজ্যিক অংশীদার চিহ্নিত করা। কিন্তু এফএসডিএল সহ অন্য কোনও সংস্থাই আইএসএল-র টেন্ডার কিনতে রাজি হয়নি।
২৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পরামর্শদাতা কেপিএমজি-র সহায়তায় প্রক্রিয়াটিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত বিচারপতি এল. নাগেশ্বর রাওয়ের তত্ত্বাবধানে একটি অনলাইন প্রাক-বিড সম্মেলন পরিচালনা করে এআইএফএফ। চারটি সংস্থা, ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (FSDL), ফ্যানকোড (ড্রিম স্পোর্টসের মালিকানাধীন), কনসেন্ট হেরিটেজ গ্রুপ (কনসেন্ট ফুটবল একাডেমির মালিকানাধীন) এবং একটি বিদেশী কনসোর্টিয়াম আলোচনায় অংশ নিয়েছিল।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ন্যূনতম ৩৭.৫ কোটি টাকা বা মোট রাজস্বের ৫% -এর মধ্যে যেটি বেশি, নিশ্চিত অর্থ প্রদানের দাবি করা হয়েছিল। AIFF-এর আর্থিক স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে বিপুল পরিমাণ অর্থের কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে সংস্থাগুলি।
অন্যদিকে, আইএসএল অনিশ্চয়তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুশীলন বন্ধ রাখলো মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে মোহনবাগানের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন অনুশীলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন