ED: কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ধাওয়ান-রায়নার! অনলাইন বেটিং অ্যাপ প্রতারণায় কড়া পদক্ষেপ ইডির
অনলাইন বেটিং অ্যাপ প্রতারণা মামলায় ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না এবং শিখর ধাওয়ানের স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১১ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। বৃহস্পতিবারই ইডি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
গত একমাসে একাধিকবার অবৈধ অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম 1xBet–এর সঙ্গে যুক্ত মানি লন্ডারিং মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুরেশ রায়না এবং শিখর ধাওয়ানকে। ইডি সূত্রে খবর, ১১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রায়নার নামে থাকা প্রায় ৬.৬৪ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ এবং ধাওয়ানের নামে থাকা ₹৪.৫ কোটি টাকার একটি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ইডি এই মামলায় ধাওয়ান, রায়না, যুবরাজ সিং ও রবিন উথাপ্পার বিবৃতি রেকর্ড করেছিল। ইডি-র মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (PMLA)–এর অধীনে এই তদন্ত চলছে এবং এটি বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ কর্তৃক দায়ের করা একাধিক এফআইআরের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সংস্থাটির মুখপাত্র জানান, “তদন্তে দেখা গেছে, সুরেশ রায়না ও শিখর ধাওয়ান সচেতনভাবে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে 1xBet-র প্রচার করেন। এই প্রচারের বিনিময়ে তাঁরা বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করেন। যার উৎস গোপন রাখার জন্য জটিল আর্থিক লেনদেনের পথ নেওয়া হয়েছিল।”
এই অর্থপ্রদানের সময় বিদেশি মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে একাধিক স্তরে ঘোরানো হত, যাতে অবৈধ অর্থের উৎস গোপন রাখা যায়। ইডি জানিয়েছে, এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ধারা অনুযায়ী তল্লাশি অভিযানের পর করা হয়েছে।
প্রাক্তন ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ইডি অভিনেতা সোনু সুদ, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রৌতেলা ও বাংলা অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার বয়ানও রেকর্ড করেছে।
ইডি জানিয়েছে, একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। ৬০টিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪ কোটিরও বেশি অর্থ ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

