

১৭ বছর পর চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চেন্নাইকে ৫০ রানে হারিয়ে নজির গড়েছে আরসিবি। চিপকে ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরেই চেন্নাইকে হারাতে পেরেছিল আরসিবি। তারপর থেকে টানা জয় পেয়েছে সিএসকে।
প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি ৭ উইকেটে ১৯৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। অধিনায়ক রজত পাতিদার ৩২ বলে ৫১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, অন্যদিকে ফিল সল্ট ১৬ বলে ৩২ রান, দেবদত্ত পাড়িক্কাল ১৪ বলে ২৭ রান করেন। এছাড়া ৩০ বলে ৩১ রান করেন বিরাট কোহলি। শেষের দিকে টিম ডেভিডের ৮ বলে ২২ রানের দুরন্ত ইনিংস বেঙ্গালুরুকে রানের পাহাড় গড়তে সুবিধা করে দেয়।
সিএসকে-র বোলারদের মধ্যে নূর আহমেদ ৩৬ রানে ৩ উইকেট, পাথিরানা ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে জশ হ্যাজেলউডের দাপুটে বোলিং টপ অর্ডারকে ভেঙে দেয়। তিনি ২১ রানে ৩ উইকেট নেন। সিএসকের হয়ে রাচিন রবীন্দ্র ৪১ রান করেন। এছাড়া আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে চেন্নাই।
এই জয় আরসিবির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ২০০৮ সালে চিপকে চেন্নাইকে প্রথম হারিয়েছিল বেঙ্গালুরু। তারপর থেকে এই স্টেডিয়ামে সিএসকেকে হারাতে পারেনি আরসিবি। ২০০৮ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে চেন্নাইকে ১৪ রানে হারিয়েছিল বেঙ্গালুরু।
২০১০ সালে এই স্টেডিয়ামেই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয়ী হয়েছিল চেন্নাই। ২০১১ সালে ২১ রানে জয়, ওই বছরই ফাইনালে ৫৮ রানে জয়, ২০১২ সালে চেন্নাই ৫ উইকেটে জিতেছিল। ২০১৩ সালে ৪ উইকেটে, ২০১৫ সালে ২৪ রানে, ২০১৯ সালে ৭ উইকেটে এবং ২০২৪ সালে ৬ উইকেটে জিতেছিল চেন্নাই। জয়ের ফলে আরসিবি আইপিএল ২০২৫ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে। দু'ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন