
শুধুমাত্র তিলক বর্মা নন, আইপিএল-র ইতিহাসে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন আরও ৩ ক্রিকেটার। তাদের তালিকা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
শুক্রবার লখনউ বনাম মুম্বই ম্যাচে ২৩ বলে ২৫ রান করে ইনিংসের মাঝপথে মাঠ ছাড়েন তিলক। তাঁর বদলে মাঠে নামানে মিচেল স্যান্টনার। যা নিয়ে তীব্র বিতর্কও শুরু হয়। তবে এর আগেও এই ঘটনা ঘটেছে। রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন আরও ৩ ক্রিকেটার।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন (২০২২)
আইপিএল-র ইতিহাসে প্রথম রিটায়ার্ড আউট হন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দশম ওভারে নামা অশ্বিন ২৩ বলে ২৮ রান করার পর স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন, ইনিংসে তখন মাত্র দশ বল বাকি। অশ্বিনের বদলে ব্যাট করতে নামেন রিয়ান পরাগ। শেষ ১০ বলে রীতিমতো ঝড় তোলেন রিয়ান। রাজস্থান শেষ ১০ বলে ৩০ রান করতে সক্ষম হয়েছিল।
অথর্ব তাইদ (২০২৩)
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব কিংসের তাইদ রিটায়ার্ড আউট হন। ২১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা তাইদের স্ট্রাইক রেট ছিল মন্থর। দল যখন ৩ উইকেটে ১২৮ রানে এবং দরকার ছিল ৩০ বলে ৮৬ রান, তখন তাইদকে রিটায়ার্ড আউট করে আনা হয় জিতেশ শর্মাকে। যদিও শেষমেশ তারা ১৫ রানে ম্যাচ হারে, তবে কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ছিল সাহসী সিদ্ধান্ত। তাইদ ৪২ বলে ৫৫ রান করেছিলেন।
সাই সুদর্শন (২০২৩)
২০২৩ আইপিএল-এ রিটায়ার্ড আউট হন গুজরাট টাইটান্সের সাই সুদর্শনও। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শুবমন গিলের ৬০ বলে ১২৯ রানের অসাধারণ ইনিংসের পাশে সাই সুদর্শন করেন ৩১ বলে ৪৩ রান। তাঁকে রিটায়ার্ড আউট করে নামানো হয় রাশিদ খান। খেলায় গতি বাড়ানোর লক্ষ্যেই রাশিদকে নামানো হয়েছিল। গুজরাট ম্যাচে ৩ উইকেটে ২৩৩ রান তুলে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে জায়গা করে নেয়।
এই ঘটনাগুলি স্পষ্ট করে দিচ্ছে, ‘রিটায়ার্ড আউট’ আর কেবল চোট কিংবা ব্যক্তিগত কারণে হয় না—এখন এটি একটি কৌশলগত অস্ত্র, যা ভবিষ্যতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন